সর্বত্যাগী নারী
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


নারী হলো সর্বত্যাগী
নিজেরই সুখ ত্যাগে,
বিসর্জনে সুখ যত সব
ভরে অন্যের ব্যাগে।


উক্তিটা ভাই এই আমারি
কেউ শুনে তা রাগে,
এই কথাটা বুঝবে নাকি
নারী লোকে আগে?


প্রশ্ন করে কেউ আমাকে
তুমি কি কও নারী?
নারী তো নই  নারীর স্বামী
নারীই গড়ে বাড়ি।


এই হলো মোর জবাবটা ভাই
গবেষণায় দেখো,
থাকলে দাদা প্রশ্ন করে
তাঁর কাছে সব শেখো।


শূন্য করে হৃদয়টাকে
স্বামীর সুখের তরে,
পুরুষেরা আয় করে দেয়
নারীই সংসার গড়ে।
==========


"সর্বসুখ ত্যাগ করে অন্যের হৃদয় পূর্ণ করার নামই নারী" - মোঃ ইব্রাহিম হোসেন।


কথাটি সত্য কিনা একবার ভেবে দেখুন।
👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇👇
আপনি পুরুষ। যে মা বাবা দশ মাস দশ দিন আপনাকে গর্ভে ধারণ করে, কত কষ্ট করে, খেয়ে না খেয়ে মানুষের মত মানুষ করে গড়ে তুলেছে। আপনি আপনার মা সেই মা  বাবা,ভাই বোন, পরিবার  ছেড়ে, তাদের মায়া মহব্বত ত্যাগ করে, আপনার শ্বশুর শ্বাশুড়ির বাড়িতে কতদিন থাকতে পারবেন?  এটা উপলব্ধি করতে পারলেই কথাটি  সত্য না  মিথ্যা উত্তর পেয়ে যাবেন।


এই নারীর প্রতিই অধিকাংশ শ্বাশুড়িরাই বেশি অত্যাচার, নির্যাতন করে থাকে।
তারা নিজের মেয়ের মত মেনে নেয় না, মেনে নিতে পারে না। একটাই কারণ, তাকে গর্ভে ধারণ করে নাই। নিজের মেয়ের ছোটখাটো বা বড় ধরণের ভুলগুলো যেভাবে মেনে নেয়, গোপন রাখে। বৌ নারীটার সেগুলো সেভাবে দেখে না। বরং পরিবারের বাইরেও প্রকাশ করে থাকে।


স্বামীর ঘরে এত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেও পরের সংসারের ঘানি টানে। পরের মুখে হাসি ফোটায়। নিজের খাবার কম করেও শ্বশুর শ্বাশুড়ি, দেবর ননদ ও স্বামীকে খাওয়ায়।


আর যারা বলছেন বৌয়েরা শ্বশুর- শ্বাশুড়িকে জ্বালায়, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি।
নিশ্চয়ই আপনার/ আপনাদের হৃদয়ে প্রেম ভালোবাসা নাই। যার দ্বারা নিজের স্ত্রীকে কন্ট্রোল করতে পারেন না। স্ত্রীর গোলাম হয়ে  মা বাবা ভাই বোন পরিবারের মনে কষ্ট দেন। মা বাবার গৃহ ত্যাগ করে অন্যত্রে চলে যান। এ দোষ কখনোই বৌয়ের নয়, এ দোষ সম্পূর্ণ আপনার। শুধু শুধু অন্যের মেয়ের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। আপনি যদি ভালো হন, আপনার স্ত্রী অবশ্যই ভালো হবে। আর আপনিই যদি ভালো না হন, আপনার স্ত্রী কখনোই ভালো হবে না।

তবে কিছু ব্যাতিক্রম আছে। স্ত্রীরাও ভালো হয় স্বামী খারাপ হলেও। কিন্তু সেই স্ত্রী স্বামীকে কন্ট্রোল করতে পারে না। কারণ,  স্বামী হলো তার মনের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী। সে তার বাইরে নিজের স্বামীকে কিছুই বলতে পারে না। আর বলতে গেলেও অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়।
এই তো পরের মেয়ে নারীর জীবন।


কখনো শ্বশুর শ্বাশুড়ির অত্যাচার, আবার কখনো নিজের স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে হয়; মৃত্যুর প্রহর গুনতে থাকে।
কারণ,  বিয়ের সময় সে গুরুজনের কাছে এই উপদেশ পায়,
সুখে থেকো মা। একটা কথা মনে রেখো।
স্বামীর ঘরে বৌ হয়ে প্রবেশ করতে হয়, আর লাশ হয়ে বের হতে হয়।
অর্থাৎ সারাটা জীবন স্বামীর ঘরেই, স্বামীর পদতলেই কাটিয়ে দিতে হয়। এই তো নারীর জীবন, এইতো নারীর জীবন!