একটি কবিতার জন্য,
শুধু একটি কবিতার জন্য,
বুকের ভেতর হাহাকার ;
হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে আসে,
পা থেকে মাথা আপাদমস্তক-
শুরু হয় তীব্র আর্তনাদ।


একটি কবিতার জন্য,
শুধু একটি কবিতার জন্য,
ভালোবাসার রক্তজবা বর্ণহীন-
ফ্যাকাসে হয়ে পড়ে,
অকালে ঝরে পড়ে সহস্র ঘাসফুল।
একটি কবিতার জন্য,
কবিতে কবিতে দ্বন্ধ ;
দেশেতে দেশেতে যুদ্ধ ;
হিংসা-ঘৃণা-ধিক্কারের ছড়াছড়ি,
বারুদময় বাতাসে অস্ত্রের তীব্র গর্জন।
রক্তে লাল হয় প্রেমিকের শুভ্র দেহ।
শুধু একটি কবিতার জন্য,
পিপাসার্ত মুসাফির চিৎকার জুড়ে দেয়,
কলমের কালি শুকিয়ে ম্লান হয়,
ধূলির প্রাচীরে বন্দী হয়
ডায়রীর ধূসর মলাট ;
তবু কবিতা লেখা হয় না।


একটি কবিতা লেখা হবে তাই-
কতই না কথা গানের ছন্দে,গদ্যে ;
কতই না প্রেম আকাশ নীলের মধ্যে
কত হাসি কান্না মিলে-
হীরে মুক্তো পান্না মিলে
একটি জীবনগল্প।
প্রেম প্রেয়সীর লাজুক চোখে
প্রেম নিবেদন অল্প।


একটা কবিতা লেখা হবে তাই-
দুধের শিশুটি ফ্যালফ্যালিয়ে চেয়ে রয়,
মিছিলের স্রোতে বজ্রকন্ঠ স্তব্ধ হয়ে আসে,
কুয়াশার কুহেলিকায় ক্ষীণ হয়
প্রভাতের রক্তিম সূর্য।।
তবুও কবিতা লেখা হয় না।
ভালোবাসার একটি কবিতাই পারে,
সবকিছু স্তব্ধ করে-
ফিরিয়ে দিতে সৃষ্টি সুখের উল্লাস।
যুগ থেকে যুগান্তরে বয়ে নিতে
চেতনার বিজয় ডংকা-
কিন্তু কোথায় সে কবি?


কোথায় সে কবি?
যার কবিতায় অমানুষ মানুষ হয়,
প্রাণহীন প্রাণ ফিরে পায়,
ঊষর মরুর বুকে গড়ে উঠে
ভালোবাসার পুস্পবাগ্।
অপেক্ষাতে প্রহর গুনি
হৃদয় মাঝে স্বপ্ন বুনি,
কবির আশায় দিন কেটে যায়
কোথায় সেই সে কবি,
তিমির রাতের আধার কেটে
আসবে কখন রবি?