হে কবি!
তুমি জাগছ না কেন? অরণ্য, দীপ্ত পথে !
দীপ্ত, প্রদীপ জ্বলে; প্রতি জন,
প্রতিজনার মন প্রাঙ্গন কোউতলে
তুমি হার্দিক কবি, প্রদীপ জ্বলা দহন
জ্ঞান করিয়া বিলম্বন তুমি, জ্বলছ সন্ধ্যায় দগ্ধ মমের মতন ৷


তোমায় স্বরণ করি মুই, মহান দীপদতায়
করিব, করেছি, করিতেছে স্বরণের উপমায় ৷
তুমি জ্বলছ জ্ঞান আহরণ, জ্ঞান বিতরণ মেলায়!
ভব পৃ'তে আছ তুমি প্রদীপ জ্বলার বেলায় ৷
বারো মাস প্রতিদিন তোমার কথা সুনি
মন মুগ্ধতায় তুমি আছ প্রতিক্ষণ স্বরণী ৷


উষ্ণতায় বনের শত ফুলের মাঝে আঁকি-জাকি ছবি রাখি তোমার শব্দ বাজে ৷
ভোরের সূর্য্য শিশিরের ছোঁয়ার মুগ্ধতায়
তীব্র হাওয়ায় স্নিগ্ধ বাঁশি বাজে !
বাজে ওই মাধবী লতায় বহা পাখিদের কলতন,
সুর দিয়ে বেণী বাঁশির বাজনায় ৷
তুমি ভোরের পাখির ডাকের উষ্ণতায়
ছয় ঋতু তোমায় ডাকে কবি!
তুমি হারিয়েছ কোথায়?


মাঝির সিন্ধু জলে ভরা মাছের থোকায়,
তোমায় খুজে কবি!
তুমি আসবে না?
আসবে না বলে মানছে না তারা
সবাই তোমার অপেক্ষায় ৷
ঐ দীপ্ত দিগন্তের পথে মরুবালী শূন্যতা ছড়ায় তোমার অপেক্ষায় ৷
জেলে,মাঝি,কৃষক,কৃষাণ,রাখাল কত জন
কত জনি তোমায় খুজে বেড়ায়
অন্যথায় তুমি জাগ! হে কবি তুমি জাগ!
প্রদীপ হয়ে জাগ! সন্ধ্যার রজনীতে জাগ !
তোমায় জাগরত করে রাখব আমি-আমরা,
আমাদের অন্তর অঙ্গনের ছায়ায় ৷


"কবিতাটি সকল কবিদের উদশ্য করে লেখা হলো ।