নব সূরুয দেখছি গায়ে, রংবি রঙের ছায়া
উঠতি মোরগ ডাক দিয়েছে কুককুড়ূ-কুক দায়া!


সূর্য্য দেখি ওই সুদূরে, যার রঙের মুনিয়া
আপসা-জাপসা আবরণ পরে, দিচ্ছে আলো বুনিয়া ৷
খুব ধরেছে হালকা শীতল কুয়াশায় মাঠ ধরা
চার দিকে ওই উষ্ণতাতে শিশির বনে মাঠ ভরা ৷


আজ সকালে ডাক দিয়েছে এ কোন পাখির দল?
স্নিগ্ধ সুরে বাজছে বাঁশি; হেমন্ত ঋতুর কাল ৷
তীব্র হাওয়ায় শীতল ছোঁয়ায় মন ভোলান গান
কত রঙের কত পাখিদের কণ্ঠ যেন তার গান ৷


শীতের ছোঁয়া লাগে এই হেমন্তের কোলে; কম্বল, লেপ নামায়
শিশির ছোঁয়া ভোর আঁধারে কোর্ট, জেকেট, জামায় ৷
নানা বাড়ী নানির হাতে শীতের কূলি পিঠা
চুলার কাছে আগুন পোহায়ে খাইতে ভারি মিঠা ৷
আরো আছে নব নবান্নর রসে রাধা পায়েশ
গন্ধ মুগ্ধ টানে মনে, মুগ্ধ আরাম আয়েশ ৷


উত্তর দিকের হিমশীতলে গাও কাঁপে থরথর
রৌদ রাশিতে কুয়াশার মেলা, শিশির ঝরঝর ৷
এ শীতে'থে পথচারীরা কাঁপচে কন-কনিয়ে
ফুটপাথেতে কান্না ধ্বনি বাজছে ঘন-ঘনিয়ে ৷


আমরা যদি তাদের জন্য হাত বারিয়ে দেই
খুশির জোয়ার ছড়াবে তাদের, আনন্দের সিমা নেই ৷
হাসবে খুকি, হাসবে খোকা সূর্য্যমুখীর মত
একটু যদি উষ্ণতা পায়, মরসুমির মত ছড়াবে; রং কত ৷
এই কুয়াশার এই শিশিরে হিমেল হাওয়ার তালে
উড়বে তারা পাখির মত গাছের ঢালে ঢালে ৷


ইচ্ছে করছে শিশির জলে লেখতে পাখির গানে
সূক্ষ্ম নদীর বালুচরে; হাটতে তার তীর ধরে, সেই কলতনে ৷
পাকা ধানের ঘ্রাণ, সুবাস মাখতে শরীর মনে
কৃষক হয়ে কাটতে ধান আর কৃষাণ বাঁশির গানে ৷
শীত এসেছে অঙ্গ, পতঙ্গ সূক্ষ্ম শরীর টানে
এই বলিয়া শুভেচ্ছা যানাই; মরসুমিকে শীতলের স্বাগতমে ৷



প্রকাশনাঃ- দৈনিক ভোলার বাণী পত্রিকা