মাঝ নদীতে ভাসবে?
     কেন?
বাতাসের বেহায়াপনায়
তোমার খোলা চুলের পাগলামু দেখবো
তাই! তাতে কি বদল হবে
       অনাকাঙ্খিত নিয়ম?
যেমন?
তোমার মনে বয়ে যাওয়া উজানের স্রোত..
হয়তো! ঘাসফড়িঙ হারাবে তার নিঃশ্বাস
    নয়তো দীর্ঘতর হবে দীর্ঘ শ্বাস।


তারপর?
     জলের ছিটানীতে তোমার কপাল বেয়ে মুক্তা ঝরাবো
রাক্ষসী ভাবনা লুপে নিবো
         তোমার আনমনা দৃষ্টি
মায়ার ঘূর্ণায়নে হবে ভালবাসার সৃষ্টি।


মাঝি! তুমি কি মাঝ নদীর গল্প শুনাবে?
পাড়ি কি দিবে ভয়ংকর ঢেউয়ের সীমা!
             তরী কি ভিড়বে কূলে?
        নাকি কূলের দ্বারে আসতেই
ছুঁড়ে ফেলে দিবে জলে!
        অতঃপর সাঁতার না জানা আমি
হাবুডুবুতে ক্লান্ত আর শ্রান্ত হবো?


তুমি কি বিশ্বাসের সংজ্ঞা জানো?
যদি জানো তবে ভরসা করো এই প্রাণ
তোমার খোলা চুলের খেলা
                 মধুর কন্ঠে গান
      শ্বেতশুভ্র ঝিলিক মাখা হাসিমুখ
কামনার দৃষ্টিতে হয়তো অথবা
    প্রেমের বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে পাড়ি দিবো
                    জীবন নামক নদী।


বিশ্বাসের প্রতি যে বিশ্বাস
তা আজ কচুরিপানার মত ভাসমান
শ্যাঁতশ্যাঁতে শ্যাওলা আস্থার উঠোন
অনুভূতির বাগানে ফুলগুলো প্রায় শুকিয়ে
স্বপ্ন যেন পাখির মত অচেনা দিগন্তে,


তবুও! তবুও মাঝি যদি পাই
         পদ্মফুলের ঘ্রাণ মাখা বিশ্বাস
তবে তোমার কোলে মাথা রাখতে দাও
আমি বাস্তবতার মুখোমুখি হতে চাই
       হারাতে চাই আমাকে আমি তোমাতে
যদি তুমি সত্যিই
                       কথা দাও।