আমার ভারতবর্ষ,আমার ভারত-
মাতা,
তুমিতো সৌন্দর্য্যের চিত্রশালা,
তুষারমৌনি হিমালয় থেকে
সমুদ্রবিধৌত পর্যন্ত,
বহু ঐশ্বর্য তব ভান্ডারে,
অপরূপ তার শোভা।


কতই না মন্দির-মসজিদ-স্মৃতিস্তম্ভ-অরণ্য-প্রকৃতি,
সমুদ্র উপকুল।


অজন্তা-ইলোরা-কোনারক-খাজু-
রাহোর চিত্র-স্থাপত্য,আজও
বিস্ময়ের বিস্ময়।


কাশ্মীর তুমি ভূমিতেই স্বর্গ,ভূস্বর্গ
তোমার রূপের ছটায় চোখ
ধাঁধিয়ে যায়।
সূদুর পিয়াসী পথিক তাই বারবার
যায় তোমার কাছে,বছরেতিনবার
দেখতে তোমার রূপ পরিবর্তন।


দার্জিলিং,তোমার নামই
"শৈল শহরের রানী"!
মেঘ ছোঁয়া পাহাড় আর সবুজের
সমারোহে তুমি অপরূপা!
টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখা,
তার আবার লুকোচুরি খেলা----
অপূর্ব!
পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে ভ্রমণ-
পিপাসু পর্যটককে তুমি ডাকছ।


ভারত জননী,তোমার তো রত্ন-
ভান্ডারের শেষ নেই;
গঙ্গোত্রী-হরিদ্বার-হৃষীকেশ-কুলু-
মানালী-সিমলা-মুসৌরী
কত,কত আর বলব-ভ্রমণবিলাসী
পথিক তোমার কোলে এসে
মুগ্ধ হয়।


আসা-যাওয়ায় দেশ বিদেশে
ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক ও গড়ে ওঠে,
এটাও বড় পাওয়া।


আমার দেশ তোমাকে আমি
মনেপ্রাণে ভালবাসি,
তোমার সাথে গভীর একাত্মতার
অনুভূতি হয়ে----
তোমাকে জেনেছি,ইতিহাস,
ভূগোল সম্বন্ধে সচেতন হয়ে।
তোমাকে প্রনাম আমার
'ভারতবর্ষ'।