দিনের শেষে নির্জীব,নরম আলোটুকু
মহাশূণ্য থেকে নেমে
আমার জানালায় লীন প্রায়।


দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরীকত্বে বিশ্বাসী
এক দশক পর ফেরা স্বদেশে।
আমার একাশি বছরের বাবা আজ
যেন এস্কিমোদের দেশের বাসিন্দা।


অরোরা বোরিয়ালিসের নরম আবছা আলোয়
দিনরাত আলোকময় জগত।


জানালায় দাঁড়িয়ে দেখছি,মায়ের
হাতের মা হীনা অমলতাস।
হলুদ ফুলে ফুলে ছেঁয়ে গাছটা।
ডালে বসে হলুদবসন্ত পাখি,
নিশ্চিন্ত মনে কঠিন ঠোঁটে নরম
পালকের পরিচর্চায়।


বাবা বলেন,বেঁচে থাকা মানে,
শুধু নিশ্বাস-প্রশ্বাস নয়--
বেঁচে থাকা মানে,ভোরের হাওয়া
ভোরের পাখির কিচির-মিচির গান
বুলবুলির শিষ চাঁদের আলো রোদ বৃষ্টি,
বেঁচে থাকা মানে স্বাধীনতা।


মনে মনে বলি না বাবা আমার কাছে বড় গাড়ী চড়া অনেক অনেক ডলার।
স্টেডি-আনস্টেডি বান্ধবীদের সাথে
সার্ফিং,সাঁতার কাটা,সমুদ্রের মধ্যে
গ্লাস-বটম্ থেকে সান-সেট দেখা-
আমার স্বাধীনতা।


গরুর মতো জাবর-কাটা জীবন,
বাহান্ন পাকের গলির শেষের বাড়ির জীবন অসহনীয়;
তোমাকে স্বার্থপরের মতো ফেলে
আবার চলে যাব!
জীবন যেখানে জাপানী গাড়ির মতো ছুটে চলে!


@লীনা দাস
কলকাতা
18.4.21