কলেজ ক্যাম্পাস


লীনা দাস==9/7/18
রঞ্জনা কেমন আছিস?
আগের মতোই সুন্দরী আছিস?
মনে আছে তোর;সেই কলেজ-
ক্যান্টিনের দিনগুলো?
কলেজ ছুটির পর কোন না কোন
অছিলায় তোর কিছু কেড়ে নিতাম
বলতাম তুই আমার সাথে যাবি,
তুই পার্টি অফিসে বসে ফুঁপিয়ে-
ফুঁপিয়ে কানতিস আমি মুগ্ধ হয়ে
তোকে দেখতাম,
তোর হাসি তোর কান্না দু'টোয়
আমাকে মুগ্ধ করত।


যে বার তুই কলেজে সুন্দরী
প্রতিযোগিতায় প্রথম হলি ,কেমন
আবীর দিয়ে তোকে সুন্দরী থেকে
ভুতনি বানিয়েছিলাম??
অনেক ছেলের মনে তুই বিরাজ
করতিস।
তোর মনে আছে রঞ্জনা,প্রথমবর্ষে
আমরা কয়েকটা ছেলে ক্লাস না করে দরজার নীচ দিয়ে তোর
শাড়ি টানতাম।


সিঁড়ি দিয়ে নামলে আমরা তোর
পিছনে পা দিয়ে শাড়ি চেপে ধর-
তাম,
তুই পড়তে পড়তে একদিন আমার বুকেই পড়লি,টাল সামলে
ঘুরে দাঁড়িয়ে বললি,আজ থেকে
আমরা সবাই বন্ধু।
হাত মেলালি তোর হাত ছুঁতে পেরে আমরা যেন কৃতার্থ।


তোর বন্ধু কি যেন নাম কৃষ্ণকলি?
ও আমাকে দেখতে পারত না।
তোকে যে ভালবাসি ও বুঝতে
পেরেছিল,
তুই শুধু বুঝলি না!
তোর আর সুস্নাতর নাম বেঞ্চ
কেটে কেটে কারা যেন লিখেছিল
তাতেও তোর কি কান্না,প্রিন্সিপাল
কে সটান গিয়ে বললি,বেঞ্চ
বাতিল হোল,তারপর তোর শান্তি।


তোর সাথে হাঁটতে হাঁটতে স্টেশন
অবধি যেতে আমার খুব ভাল
লাগত,
কোন ক্লান্তি থাকত না.মনে হোত
সকাল শুরু হোলো সবে।


যখন তোকে বললাম আমার ভাল
বাসার কথা।
তুই বললি কলেজের ভালবাসা
টেকেনা,তুই আমার বন্ধু হয়ে মনে
থেকে যাবি কবীর।
তুই আরও বলেছিলি কোন ছোট
থেকে ভালবাসি ভালবাসি শুনতে
শুনতে কান পচে গেছে,আর
শুনতে ভাললাগে না।
তুই ছিলি আমার প্রথম ভালবাসা
রঞ্জনা!
আজও তোকে ভুলিনি,আমার
কথা কি মনে পড়ে রঞ্জনা!