খুকু ও কবি
চিঠি কবিতা
লীনা দাস(5/11/17)


কবি;তোমার ব্যস্ত জীবনে আমি একটু বিরক্ত করছি আমার জন্য!


তবে আমার কোন জোর নেই অনুরোধ আছে,একাকী জীবনে বন্ধু তুমি,তোমায় বললে শান্তি পায়।
শোন যদি তবে বলি----


পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি, মনের পরিবর্তন ও না।
তবে মনে বড় একটা ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
তোমাদের খুকু চিরকালের বোকা এখনও মানুষ চিনে উঠতে পারেনি।কেউ হেসে কথা বললে সে ভাবে খুব ভাল লোক,বিশ্বাস করে বসে,
আপন অধিকারের অধিকারী ভাবে।
নিট ফল=আমার মন এখন লন্ডভন্ড।আমি খুবই খারাপ আছি কবি।
এতো আঘাত আমার পক্ষে সহ্য করা দিনদিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে।ভোলাতো দূরের কথা আরও চেপে বসছে।নিজের মূর্খামির উপর নিজের ঘেন্না জন্ম নিচ্ছে!
তুমি আমার জন্য একটা কাজ করবে কবি?
তুমি বরং রবি ঠাকুরের "সাধারণ মেয়ে"র মালতী
যে ভাবে বলেছিল,আমিও বলছি তুমি কলমের জাদুতে আমাকে বড় কবি বানিয়ে দাও
আর ওকে ধরা যাক কবীর নাম,কবীর থাক সোনালী,
কামিনী,সর্বানীদের নিয়ে।


মশগুল থাক মেয়েলি গল্পে,
সঞ্চয় করুক গোলাপী সুখ।
সময়মতো তাদের হিমঘরে চালান করে দিলেই হল।
ঠিক কৃষ্ণের মত,রাধার প্রেয়স কৃষ্ণ!বেচারী রাধা!


কবি;তুমি আমার কথা বুঝতে পেরেছ তো?
রাধারাই কেন প্রতারিত হয়?
সারাজীবন প্রেয়সের বিরহে
বিরহীনি!


আমার আবার প্রেম ট্রেম নয়
আমি ভেঙে পড়েছি বিশ্বাসের অমযার্দায়।


একবারও ভাবল না আমার কি হতে পারে!কত অপমান আমাকে করল।
অপমান আমি হজম করতে পারছি না কবি।
আমার মত সেন্টিমেন্টাল মানুষদের অনেক মরণ গো।গায়ের চামড়া এত পাতলা একটু আঁচড়েই রক্তাক্ত।


আর ঐসব মুখমিষ্টি কবীররা সবার কাছে ভাল সাজে আর আড়ালে কাউকে কাউকে রক্তাক্ত করে।
আমার মত  মানুষকে ক্ষতবিক্ষত করে।


আমি রাধা নই,বিরহীনি ও নই
তবে আমিতো রাধাদের জাত!
অসম্মানের কাঁটা খচখচ করে!
মাঝরাতে জেগে গেলেও ঐ কাঁটাটাই খচখচ করে!


কবীরকে ভালবাসি আমি,
খারাপ ভাবে নিওনা বন্ধু,
তুমি তো জানই কত ধরনের
ভালবাসা আছে;
তোমাকে দোহাই কবি কলমের খোঁচাতে করে দাও নামকরা কবি,শুধুমাত্র কবীরের জন্য!
ও যেন কোনদিন ভুলে না যায়,যাতে দগ্ধ হয়।


কথা না বলুক,দেখা হয়ত আরও একবার হবে!!


প্রাপ্তি আমার!