মন্তব্য=
লীনা দাস(4/10/17)


তুমি আজকাল বেশ ভাল লিখছ।কবিতা।
তবে একটা কথা,এবার দুর্গাকে ছাড়ান দাওতো বাপু।


নীললোহিত সেই ক...বে রক্ত-মাংসের দুর্গার কথা লিখেছিল......
তাকে ভাঙ্গিয়ে আর কতদিন?


খাতার পাতায় জ্যান্ত দুর্গার দুঃখের কাঁদুনি গাইলে
কি প্রতিবাদ করা হয়?
প্রতিবাদ যদি করতেই চাও
কর্মবীর হও,ওদের জন্য...
জ্যান্ত দুর্গাদের জন্য।


আমি আবার উচিত বক্তা,
সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলি।
অকারন আপ্তবাক্য নৈবনৈব চ
তুমি কবি, মাটির দুর্গার বিপক্ষে গান গাইছ?
জ্যান্ত দুর্গারও যে বড় দরকার মাটির পুতুলের।


রস-কষ হীন ওর জীবনে,না খেতে পাওয়া শীর্ণ শরীরে ও
আলোর বর্তিকা দেখে,ঐ চারদিন।
ঠাকুর ভাসান্ হবে,জ্যান্ত দুর্গারা প্রহর গোনে।
মায়ের কাঠামো পাবে,অস্ত্র পাবে!!
টাকা আসবে,দুটো ডাল-ভাত,
পরিতৃপ্তির ঢেঁকুর!


চাই না আমি কবি,ওদের চারদিনের সুখ কেড়ে নিতে!
গরম ভাতের গন্ধ কেড়ে নিতে!
আমি কর্মবীর নই,আমি পারব না দুঃখ ঘোচাতে ওদের।
সামান্য আনন্দ!তাতেও তোমার গাত্রদাহ কবি?


বলতে হবেনা,তোমার কথা বুঝেছি।
যারা মাতামাতি করে পুজো নিয়ে,
কে বলেছে কবি,তারা বাবা মাকে দেখেনা?
অমানুষ যারা,তারা দেখেনা,
তারা শিক্ষিত বা অশিক্ষিত হতে পারে,ধার্মিক-অধার্মিক,
নাস্তিক-আস্তিক হতেই পারে।


জ্যান্ত আর মাটির দুর্গা তুমি ঘেটে ঘ-করে দিলে হে কবি!


কবি আমি নাস্তিক তবে গোঁড়া নই।
যারা পূজো নিয়ে মাতামাতি করে তাদের পক্ষেও।
পেটে আগুন জ্বললে অট্টালিকাও সুখ দিতে পারেনা!
চারদিনের সুখ আনন্দ কেড়ে নিতে পারব না।
পূজোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারব না।
বিকল্প ব্যবস্থা করলেও বিরুদ্ধে যাবনা।
আমি পূজোর পক্ষে,
হাসতে ভুলে যাওয়া জীবনে,
ঘরে বসেও বৈচিত্রের স্বাদ পায়,একবুক টাটকা অক্সিজেন নিয়ে অপেক্ষা করি
আবার কবে মা.....।