পরকীয়া
    লীনা দাস


আজ মাধবী আমার সাথে সাথে
পাশে পাশে।
মাধবীর ঠোঁট দু'খানি আর চিবুকে
দৃঢ় প্রত্যয়,


সায়কিয়াট্রিস্টের মতো অন্তর্ভেদী তীক্ষ্ণদৃষ্টিতে তাকালে মনে হয়
যেন ভস্ম হয়ে যাব।


বেদনার রং নীল,কষ্ট হোলে সমস্ত নীলাকাশ যেন আমার পুরো সত্ত্বা,
গ্রাস করে নেয়।


অবয়ব অথচ মনে হয় নিরবয়ব হয়ে ঘুরে ফিরে বেড়ায়।
আজ বেদনা নেই,মাধবী আছে।


পথের দু,পাশে বড় বড় জ্যাকারান্ডা গাছ,
হালকা বেগুনী রঙা ফুল।
সারা গাছ ফুলে ফুলে ভরে।


সামান্য দূরে সার সার কৃষ্ণচুড়াগাছ
লাল-হলুদ-কমলা কৃষ্ণচুড়া।
পথের উপরে যেন ফুলের বিচিত্র রঙের গালিচা পাতা।


অন্ধকার নেমে আসছে,কোন আলো নেই।
মাধবী আমাকে বুঝতে পেরেই
বলে বসল,
অন্ধকার আমার খুব ভাল লাগে,
অন্ধকার আছে বলেই না আলো,
তারাদের ঝিকিমিকি,চাঁদের আলো উপভোগ করি।


একই হলে সব জায়গা স্টিরিওটাইপড্ হয়ে যাবে।


ওর বাড়ী প্রায় আগত,যাওয়ার
আগে ওর কাছে ঠোঁট স্পর্শ করতে
চেয়েছিলাম।
ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন এটা পরকীয়া!
নিন্দনীয়!


না!ভালবাসা!ভালবাসা আর পর-
কীয়া আলাদা মাধবী!
পরকীয়া শুধুই শরীর চাই,ভাল-
বাসা থাকেনা!
ভালবাসায় ভালবাসা থাকে,
সুখের-দুখের অংশীদার হয়!
কখন-সখন অজান্তে শরীর চলে
আসতে পারে!
তুমি যাও বাড়ির ভিতর!
আমি আসি মাধবী!


নীল আবার আস্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে..