শহর তোমাকে ভাল লাগেনা


লীনা দাস(কাব্য চারুলতা)


শহর থেকে দূরে পালিয়ে বাঁচি আমি,
শস্য শ্যামলিমা প্রান্তরে
ছুটে যায়,ছুটে যায় পাহাড়ে
পাহাড়ে।


শহর কলকাতা এখনও হলেনা আপন!
দেখা যায় না আকাশ,দেখা যায় না চাঁদ তারা সূর্য!
কখন ভোর হয় খোঁজ রাখে না কেউ।


চুপিসারে দিগন্তে দিগন্তে আলোছায়ার দারুন সব ছবি এঁকে,
সন্ধ‍্যে আসে হররোজ কেমন নিত্য নতুন হয়ে
কে তার খবর রাখে?


কিংবা চলে যাওয়া দিনের সাথে ফিরে আসা রাতের
কোন্ প্রান্তরে দেখা হয়,
জানেনা শহুরে মানুষ।


হাওয়ায় সেখানে পোড়া ডিজেলের ধোঁয়া,
তাদের মন পড়ে থাকে পাশের বাড়ী,গলির মোড়ের
চায়ের দোকানে,হয়ত অফিস ঘর,নয়ত রাস্তার ভিড়ে।


ওরা শুনতে পাইনা গাছ থেকে পাতা খসার শব্দ,
জানতে পায়না শিশিরের
পায়ের শব্দ,
শুনতে পাইনা দুপুরের একলা পাখির চিকনগলার
ডাক,ভোরের পাখির গান,
টাটকা ফুলের সুবাস তাদের নাকে আসেনা।
অব্যবহৃত যন্ত্রের মতো ওদের নাক কান চোখ।


দিগচক্রবাল কি শহুরে মানুষ জানে বইয়ের পৃষ্ঠায়।
এর ব্যাপ্তি বা উদারতার
অনুভব তারা জানে না বোঝেনা।


সব ছেড়ে চলে যায় দূ-রে কোথাও!
কোপির উপর দাঁড়িয়ে
ঐ দূর দিগন্তে দেখি ইয়ালো
ফিভার অ্যাকসিয়া গাছের জঙ্গল।
বিরাট দলে থমসন গ্যাজেল
বড় দলে আছে জেব্রা।
সীমানা ভাগ করে চরছে তারা।


আমি পরম তৃপ্তিতে চোখের আরাম নিচ্ছি।