হঠাৎ করেই মেয়েটার-জিঙ্গাসা,
বাবু রথ টানলে আবার,
পেয়েছ–খুঁজে ভগবান তোমার?
বেশ কবার দেখেছি তোমায়-
কান্না দুঃখ-কিছুই যে নয় তোমার পাশে,
ভগবান-শুধু ভগবান সাজানো হৃদয়ে তোমার।
বাবু-গরীবদের নেই কোন ভগবান,
বাস যে তার-
সুর ছাড়ানো প্রাচুর্যতায়-
আর আনন্দের দুপুরে।
শুক্রবারের দুপুর-
পৃথিবী ভঁরা নামাজ আর আজানে,
দাঁড়ানো মেয়েটা-প্রশ্ন তার,
কপালে সাজানো মন্ত্রে তোমার-পেয়েছ খোদা খুজে ?
দেখেছ-কপালে সকলের নামাজের সুর,
রক্তের সুরে সুরে আবার-নাচন ওদের আনন্দে।
বিশ্বাস সবার ভালবাসার আল্লায়-
সাজানো শান্তির সাজ-
তবু ও চাই রক্তের স্বাদ,
ক্রীতদাস যে ওরা-অন্ধ ধর্মের।
রোববার সকাল-
ভরা চারপাশ গির্জার ঘন্টায়,
ঝকঝকে পোষাকে যীশুর গান-
প্রশ্ন মেয়েটার-কোথায় যীশু তোমার?
প্রশ্নটা লুকোনো কানে আমার-
ভগবান-খোদা-যেটাই বলো,
পুজো করো-নামাজ ধরো-কথাটা একই
আকাশ ছড়ানো-যন্ত্রনার চারপাশ,
সাজানো চাই বিধাতার আকাশ-
সুর ছড়ানো মন জড়ানো।
বিধাতার দেশের ভাষা ভিন্ন-
আল্লাহ্-ভগবান-যীশু সবাই-
খোঁজে ভাষা স্বর্গসুরের।
বিশেষ মানুষ-বিশেষ ভাষা,
না হলে খোঁজ নেই-
আল্লাহ্-ভগবান-হাজারো বিধাতার।
বাবু-ভগবান-আল্লাহ-যীশু যাই বলো,
কোন দেশে বাস-
কোথায়-জানা নেই কারো।
ভালবাসায় নাকি লুকোনো-বিধাতা,
তবে-আল্লাহ্-যীশু-ভগবান-কেন যুদ্ধে সাজানো?