অরুন্ধতী-লিখেছি তোকে বেশ ক বার,
উত্তর আসেনি-যদি ও,
শহর ছাড়ানো শহরে,
মনে কি পড়ে না আমাদের?


কথা রাখিনি-আমি,
কাপুরুষ-হয়তো হবে না ভুল বলা,
বিয়ে করেছি রূবীণাকে-
কিছুটা প্রয়োজন-কতকটা আয়োজন।


কিছুটা সাহসের অভাব-
কিছুটা ধর্মের সুর।


হলো না দেখা-তোর সাথে আর,
শুনেছি-তুই মাধবপুরে,
হাত ধরা-নতুন সকাল,
বয়সের দৌড়ে-হারানো পুরোনো আকাশ।


নতুন শহর-নতুন মুখ,
তুই হয়তো বা-নতুন কোন এক তুই।


তোর খবর ও ঠিক জানা নেই-অতটা,
আজ ও কি একা তুই?
সময়ের সময়ে নিজেকে ঘৃনা হয়–আমার,
স্মৃতিগুলো ও ঝরে যাওয়া-ঝরা পাতার সুরে।


তোর হয়তো কিছুই ছিল না করার-
চারপাশটা ভঁরা-এটা ওটা কথা,
আমার না বলা-আজও না বলা তোকে।


তোর চলে যাওয়া-
হাজার সুরে ফিরে না দেখা,
হয়তো ছিল না উপায় তোর।


সুলেখাদির ঘরটা-লুকোচুরির সন্ধ্যা,
আছে কি মনে তোর-
হারানো আকাশ আমাদের-রং ধনুর সুর।


কপাল সাজানো রানীর খেলা,
ময়ুরের পাখায় বিচারের পালা,
ছেলেবেলা আমার-আজ ও যে হারানো তোর সুরে।


কেমন জানি একা তোকে ছাড়া,
হারানো তোর মুখটা-অচেনার চেনা দুপুরে।
সময় হারানো যদি বা-সময়ের পাতায়,
পচিশ যে পেরোয় না কখনো ভালবাসায় সুরে।