অনেক কটা বছর-দিন পেরোনো অনেক,
দেখা কালীর হঠাৎ।


আমার উচ্ছৃখল হওয়ার সন্ধ্যা,
শরীর খোঁজায়-একটা শরীর।
একটা হিসেব ছাড়া আকাশ-
আরেকটা মুখ।


‘আমি কালী-মনে পড়ে?
না চিনলে অবাক হবো না,
এটা কি আর চেনার মুখ?
নোংরামির জগতের আরেকটা চেহারা।


কতদিন হবে রে-কতগুলো বছর,
দেখা হলো-
না হওয়াটাই হয়তো ছিল ভাল,
এখন তো স্বপ্ন ছাড়া পড়ন্ত বেলায়।


এটা আমার নতুন মুখ,
গান শেখার গানে নতুন গান,
কিছুই হলো না রে-
শুধুই সংসারের জঞ্জাল আরেক।


কোন দিন খোঁজ ও নিলি না,
আমি ও রাখিনি যোগাযোগ,
বলার মত ছিল ও না তেমন,
বেঁচে থাকার তাগিদে বেঁচে আছি শুধু’।


অবাক হওয়া,
অবাক হওয়া ছিল আমার-
স্মৃতির শিশিরে হেঁটে যাওয়া,
হেঁটে যাওয়া অনেক হতাশার আকাশটায়।


কালী যে আমার খেলাবেলা-
আমার গল্প সাজানোর গল্প,
ছেড়ে আসা সকালটা আমার।

বাড়ী ছাড়িয়ে কটা হাসির দৌড়-
কালীদের বাড়ী।
কালী,আমার লেখা খেলার সাথী-
আমার পুরোনো আকাশের-রংধনুর সাজ।


প্রথম চুমুটা আমার,কালীর সাথেই-
শরীর খুঁজে নেওয়ার রহস্যটা-
বর বৌ খেলাটাও শেখা কালীর কাছে-
হয়তো বা আমার পুরুষ হওয়ার প্রথম পালা।


স্মৃতির দেশের প্রথম দেশটায়,
কালীর সাথের সময়-আমার,
খেলাবেলার  কানামাছিঁ,দাড়িয়াবান্ধা,
পূজোর নাড়ু-সেলাই কাপড়ের পুতুলে।


যদি বদলানো যেত ভেঙ্গে যাওয়া চারপাশ,
যদি ফিরে পেতাম ফেলে আসা সকালটা,
শিশির শুভ্রতার বেলাগুলো আমাদের,
আবার পুরোনো হওয়া পুরোনোতে।