মাঝে মধ্যেই কেঁপে কেঁপে উঠছে স্মৃতিগুলো ।
এইতো সেদিনও হাত ধরে হেঁটেছি কত চেনা পথ ।
তোমার হাসির সাথে সমুদ্রের ঢেউ আছড়ে পড়তো তীরে । শন্ শন্ বাতাসে দুলিয়ে দিত আমাদের কথার ধরণ ।


দূরে ঢেউয়ের মাঝে ভাসমান নাজেহাল জাহাজ দেখে তুমি প্রায়শই শান্ত হয়ে যেতে । তীরে ফেরার শঙ্কায় ভাবিয়ে তুলতো সমুদ্রের উত্তাল ঢেউয়ের গর্জন। আমি তোমাকে বুঝাতাম । জাহাজ গৌধূলি শেষে তীরে ভিড়েছিল ঠিকই  । আমি তোমার কাছে ভীড়তে পারিনি এখনোও ।


নাগরদোলায় পাশাপাশি বসে দোল খেতে খেতে সেদিনের সন্ধ্যাটা ফুরিয়ে গিয়েছিল । তুমি ভুলে যেতে পারো । যেমনটা আজ ভুলে গেছো আমাকে । সেই নাগরদোলা আজো আমাকে দোলায় । আমাকে স্মৃতির ঘূর্ণিতে ফেলে দুমড়ে মুচড়ে ফেলে । আশ্রয় পেতে যাই তোমার ঠিকানায় অতীতের মতো করেই। তুমি দেখেও যেন না দেখার ভান করে থাকো । মুখ ফিরিয়ে নাও সহসা । যেমনটা নতুন বৌ নিয়ে ঘরে ফিরলে বৌকে দেখে আগের বন্ধ্যা স্ত্রী করে ।


বন্দর নগরীর সেই অলংকারের মোড়টা আমার জীবনকে অলঙ্কৃত করেছিল । আমাকে একটা তুমি দিয়েছিল। এবং সেই তুমিটা এমন যাকে না চাইলেও আমার ভাবতে হয় । আমার সবকিছু তাঁর জন্য সোপর্দ করতে ইচ্ছে হয় । ভালোবাসি বলে সারাক্ষণ পাশে থাকতে ইচ্ছে হয় । আমার সবটুকু সুখ সেই তুমি । কেড়ে নাওনি ,না এই কথা আমি বলবো না । হয়তো তুমি আমার কপালেই ছিলে না ।


তুমি সাঁতার জানো না আমি জানি । আমার আখিজলের নদীতে ভাবনা হয়ে রোজ সাঁতার কাটো । সে কথা কাউকে বলিনি । আমার হাসিমুখ  সবসময় যেন তোমাকে বুঝিয়ে দেয় আমি অনেক সুখে আছি। হ্যাঁ সত্যি তাই । আমি অনেক শোকে আছি ।


আমি অপেক্ষায় থাকি । এসে প্রশ্ন করবে, "এতদিন আমাকে ছাড়া থাকতে পারলে? তাহলে তো ভবিষ্যতে ও পারবে  । চুপ কেন । কথা বলো "
আমি উত্তর দিবো না । তুমি আমাকে মিথ্যাবাদী বলে দিবে মুখের উপর । অনেক হাসব তখন ।হাসি দেখে রাগ করিও সেদিন । তোমার রাগী মুখ আমার বারবার দেখতে ইচ্ছে হয় ।


চা ছাড়া তোমার চলে না ,এটাও জানি । ধরো মিনিট পাঁচেকের জন্য তোমাকে চায়ের গল্পে বসতে বললাম । তুমি কি আমাকে সময় দেবে?  নয়তো কোন ফুচকার দোকানের সামনে দেখা হয়ে গেল । নাকি বলবে , ফুচকা তোমার ভালো লাগে না ? কি জানি হয়তো বলে দিতেও পারো , তোমাকে এখন আর ভালো লাগে না ।