পার্থিব আদালত কোন অপরাধে
কাঠগড়ায় তুলে বিচার বিবাদে ।


প্রয়োজনে জেরায় সত্যিটা নিরুপন
বাদি বিবাদির নেয় সাক্ষ্য গ্রহণ ।


দারোগা, মুক্তার, সাক্ষী, উকিলে
খরচ পেলেই কোর্টে কথা বলে ।


দিনক্ষণ শুনানি চালান কিংবা রায়
রিমান্ডের খারিজে বেশি টাকা চাই !


বানোয়াট কথায় হয়তোবা পরে
বেকসুর খালাসের জামিন করে।


অর্থের দৌড়ে যে থাকে সামনে
জিতে যায় মামলায় লাখ দুই গুণে ।


গরিবের বিচার নাই জমি যায় দখলে
লাশটাও পড়ে থাকে বেঁচে যায় সবলে ।


ধর্ষণে মান কাড়ে মহাজনের ছেলেটায়
কুৎসা রটে ভিটে ছাড়ে গরীবের ঠাঁই নাই ।


টাকায় চিড়ে ভিজে নাস্তা পানি বকশিশে
বেহুদা প্রমাণ খুঁজে টাকা খায় পুলিশে ।


অন্তরে টিকটিক তবু গেলে সালিশে
ভয়ে কাঁপে অপরাধী মিথ্যা বলা নালিশে ।


কি জানি হয় ভেবে উঠে চমকে
স্বাভাবিক চলন হুটহাট থমকে ।


ভুলের মাশুলে পাবে কিসে দন্ড?
চিন্তায় ঘেমে যায় দিবাশ্রম পন্ড ।


ভুলে গেছে জোতদার কিরামান কাতেবীন
দেনাপাওনা হিসেব তাদের রাতদিন সবদিন ।


রোজনামচা লিখে যায় প্রতিটি প্রহরে
কখন, কোথায়, কিভাবে যা সে করে ।


হাশরের আদালতে হবে সব উত্থাপন
নিরীক্ষা শেষে প্রভু আমল করবে মাপন।


ইয়া নাফসী বলেও যদি রায় আসে বাহাতে
রক্ষে নেই আর জ্বলবে হাবিয়াতে ।


দুনিয়ার বিচারেই হাঁটুতে ধরে কাঁপন
আল্লাহর সামনে ভেবেছ হবে কেমন?


পার্থিব ক্ষমতায় না দিয়ে মন
আজ থেকে পুঁজি হোক পূণ্য অর্জন ।


টাকায় দিবে কি মুক্তি সেই আদালতে
ফেরেশতা ঘুষ খায়না দিবে কার হাতে?