৪৭ থেকে শুরু
সেই দেশভাগের কথা,
মনে আছে গুরু
নির্যাতন সহিংসতা ।


বায়ান্নয় মায়ের ভাষায়
৫৪ যুক্তফ্রন্টে,
৫৬তে বিধানসভায়
স্বীকৃতি বাংলা কন্ঠে ।


সামরিক শাসন আইয়ুবের
আটান্ন সাল,
৬২তে দগ্ধ দেশের
ছাত্ররা ধরে হাল ।


ছেষষ্টির ছয় দফায়
শেখ মুজিব লাহোরে,
মুক্তির হলফনামায়
জানান দিলো হুংকারে ।


৬৮তে আগরতলায়
৩৫ মামলার উপাখ্যান,
স্বায়ত্বশাসনের চেতনায়
জনগণের অভ্যুস্হান ।


সত্তরের নির্বাচনে
ইয়াহিয়া খানে,
বিরুদ্ধিতা সামনে
১৬৭ আসনে ।


রেসকোর্সে একাত্তরে
স্বাধীনতার ডাক,
আছে যা, আই ভাইরে
রুখ হানাদার পাক ।


তিরিশ লাখ নয়মাসে
প্রিয় ভাইদের রক্ত,
ঝরে গিয়ে গড়েছে
বাঙালির দেশ মুক্ত।


দুই লাখ মা বোনের
সম্ভ্রম কি ভুলা যায়?
তাও তোদের পীরিত কিসের
ইতিহাস কি মনে নাই?


আজ তোরা ভারতপ্রেমী
ডাকিস নাকি দাদাভাই!
ভাই বলে পাকি চুমী
ছি! তোদের লজ্জা নাই ?


জাত-পাত,বর্ণে
কেড়ে নিতে ভাষা
দুমুঠো অন্নে
ঘাড়ে মারতো ঠাসা ।


স্মৃতিফলক নয় শুধু
ইট পাথরের সুরকি!
বধ্যভূমি গণকবর
প্রমাণ চাও আর কি?


খালি পায়ে ফুল দিয়ে
একুশের ভোরে,
একমিনিট চুপচাপ দাড়িয়ে
দাবি দেশপ্রেমিক? বাপুরে !


মাটি খুড়লেই কঙ্কাল
সংগ্রামের চিহ্ন,
আদিতে সব দামাল
সাহসে বরেণ্য ।


বাঁচার তাগিদে শিখেছিল মরতে
ভয়কে করেছে জয়,
দাসত্বে শিখে তোরা আজ বিপথে
বলছিস অকুতোভয় ।


সত্বা হারিয়ে টাইটেল রেখেছি
আমরা বীরের জাতি,
চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি
গোপাকদের প্রীতি ।


মাতাল মুরিদ পার্থিব পীরে
চেতনায় ভরা দেশটা,
মূত্রখোরে শাসনজুড়ে
খুঁজে যোগ্যের দোসটা ।


মোসাহেব আর চাটুকারে
পূর্ণ দেশের মসনদ,
দুর্নীতি,চুরি, অবিচারে
ডিজিটালের ফুরসৎ ।


ধোঁকাবাজি ইশতিহারে
উন্নয়নের সান্তনা,
মন চাহে তাই করে
কাজের কাজ কিছু না ।


মাটির পুতুল সরকারি সব কামলা
চোখ বুজে মেনে নেয় অনিয়ম ঝামেলা,
মামা খালুর মদদে আজ সে আমলা
চাকরি বাঁচাতে সহে যায় হামলা ।


পোষ্টারেই রাজনীতি
বনে গেছে নেতা,
কার আছে দেশপ্রীতি
কে ভাবে সে কথা?


কোন্দল নিজেদের লক্ষ্যটা গদি
ভাবে কি আজ তারা দেশকে?
শাসন পেতে সাজে প্রতিনিধি
ভুলভাল বুঝায় মানুষকে !


এমন যদি হবে
তবে পরাধিনতাই ছিল ভালো
স্বজাতি ছিড়ে খাবে
বৃথা ত্রিশ লাখ রক্ত দিয়ে গেলো ।