মৃণালিনী আমি নিঃস্ব, প্রিয়!
ধরণীর সব রঙ নেই আমার;
আমি বোতল ভর্তি মেঘ দিতে পারি তোমায়,
তোমার খোঁপায় সুবাসিত কামিনী গুঁজে দিয়ে
মুক্ত করতে পারি এক ঝাঁক প্রজাপতি;
বিনিময়ে আমি চাইব, মৃণালিনী, তোমার,
কেশের ফাঁকে জমা বিন্দু বিন্দু শরত;
.
.
সাদা মাটা ধরণী আমার, মৃণালিনী!
তোমার বুক-পিঠে সাজাবো মাধবীলতা,
কোমরের বাঁকে বেঁধে দেব জোড়া নীল-পদ্ম,
তোমার ঠোঁট রাঙায়ে দেব কৃষ্ণচূড়ার লালে;
মৃণালিনীর বাহু জুড়ে রবে ময়ুর-পালক,
চোখে এঁটে দেব গোধূলির আকাশ, স্বচ্ছ নদী;
বিনিময়ে হরিণীর চোখের গভীরে ডুবতে দিও?
.
.
মৃণালিনী, তোমার বুকে তুলে দেব ঊর্মিমালা,
তোমার গায়ে মেখে দেব পাহাড়ি সবুজ!
বিনিময়ে মৃণালিনী, আমি হারাতে চাই;
তোমার কন্ঠের মায়ায় হারাতে দিও বিস্ময়ে!
মৃণালিনী, প্রিয়! তোমার,
প্রলম্বিত গ্রীবা, কমল ডগার ন্যায় ঊর্ধ্ববাহু,
কপোতীর বক্ষের ন্যায় গাল ভর্তি অহং‌,
আর মরুর ন্যায় তৃষ্ণার্ত পিঠের খাঁজ,
স্পর্শেই এঁকে দেব ভালোবাসার মানচিত্র!
.
.
মৃণালিনী শোন! আমি নিঃস্ব;
পুরোটা তোমাতে আমি ধরণী মেশাবো,
আমার আর কিছু নেই; বিনিময়ে প্রিয়!
তোমার ভেতর আমায় বসত করতে দিও?