রাত্রির ক্রীড়া বিলম্বে সাঙ্গ করে
জেগে থেকেছে নিশাচরেরা,
আরও রাত্রির তামসী গভীরে
পেতেছে কান, শুনতে পদধ্বনি
দেখেও শিকারের অঙ্গন ফাঁকা,
আকাশে নেই কোন প্রতিধ্বনি
শুধু যুদ্ধক্ষেত্র আলোয় উজ্জ্বল
এক তৃণ-হরিত অর্ণব, পোত-হীন
আর তাতে ভাসমান নিশ্চল
রামধনুর রেখা চিত্রিত এক বর্তুল |


তখন স্বস্তিতে এপাশ ওপাশ দেখে
তাকিয়ে আকাশে, তারা ঘুমিয়েছে
অনেক অনেক রাতের গভীরে
মুখে লাল-হলুদ রক্তের স্বাদ নিয়ে
মাখিয়ে দেহে ক্রীড়ার আলস্য
জড়িয়ে চোখে এক রমণীয় লাস্য


আমি প্রবেশ করেছি তাদের মনে
দেখেছি তাদের মন তখনও গুঞ্জিত
সবল দেহের পায়ের অস্থিরতায়,
ঘর্মাক্ত শরীরে উষ্ণ শরীরের ধাক্কায়
শান্ত করতে সেই চপল চাঞ্চল্য
স্বপ্নের মাধ্যমে ধরেছি তাদের হাত
যে হাত তখনও আর্দ্র, স্নায়ু-বিকল
সেই হাতে ধরিয়েছি পতাকা,
ও বাঁশি, কাল বাজাতে ক্রীড়াঙ্গনে
করতে শুরু সেই, আবার যা হবে
একদিন না একদিন নিশ্চয় শেষ


ততক্ষণ ঘুমাও বন্ধু, ওই জগতে
যেখানে নেই কোনও ফুটবল
আর নেই লাখো উৎসাহী দর্শক
যার শতকরা পঞ্চাশ, ভ্রুভঙ্গিতে
আমন্ত্রণের সাঙ্কেতিক ইঙ্গিতে বলে,
“কাল আবার এসে, বসে ওপারে,
নেড় হাত  সেম্যাফ্যর সংকেতে |”


------
[ সেম্যাফ্যর (Semaphore): হস্তধৃত
পতাকা আন্দোলিত করিয়া সাঙ্কেতিক
বার্তা প্রেরণের ব্যবস্থা) ]


---------------------------------------
© ইন্দ্রনীর / ০৫ জুলাই ২০১৪