হে মহামানব সভ্যতার মানুষ, আমি ধরণীর বুকে মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েছি, কোন ধার্মিক  হয়ে নয়।
আমি বেহেস্ত,  স্বর্গ চাই না, আমি চাই ধরণীর বুকে মানুষকে  ভালবাসতে, ভালবাসার গান বলতে।
আমি দেখেছি কত অসাহায় প্রেম ঝড়ে গেছে
ধর্মের নামে, কত ভালবাসার মুকুল মৃত্যুর গর্ভে হারিয়ে গেছে, কেউ মনে রাখেনি তাদের।
আমিতো এমন ধর্ম  চাইনি, যে ধর্মে দুটি জীবন্ত প্রানের ভালবাসার বিনাশ  ঘটায়।
যেখানে ভালবাসা আটকে যায়, ও হিন্দু না মুসলিম।


যেখানে ধর্মেরষাঁড়েরা মেনে নেতে পারে না দুটি প্রাণের প্রণয়ের ভালবাসা,
মুক্ত করে দিতে পারে না ধর্ম থেকে, ছিনিয়ে নেয় স্বপ্নে দেখা কুঁড়ো ঘর, কোন নিশিত  রাতে, জ্বলন্ত ধর্মের অগ্নিদাহে।
ধর্মেরষাঁড়েরা চিৎকার  করে বলে ধর্মকে ভালবাসো, আমি চিৎকার করে বলি কেন মানুষ কে নয়?


ওই মানুষটা কে আমি ধার্মিক  মনে করি না,
যে মানুষটা ধর্মের দোহাই দিয়ে নিষ্পাপ ভালবাসার মৃত্যু ঘটায়।
তারা মুসলিম  হতে পারে, তারা হিন্দু হতে পারে , অথবা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ।
হয়তো মানুষ বলাটা তাদের ভুল হতে পারে,
তারা অন্ধকারে লুকিয়ে থাকা পিশাচ, অধম, বনের পশু।
পশুর সঙ্গে তুলনা করা সার্থক না হতে পারে,
ওই  বনের পশুরা দলবদ্ধ  ভাবে নিজেদের স্নেহমমতা দিয়ে নিজের জাতিকে ভালবাসে।


আমরা গর্ববোধ করি আমরা শিক্ষিত মানবজাতি, যেখানে আমরা আধুনিক সভ্যতায় এসেও  ধর্মের বেড়াজাল
থেকে বেড়াতে পারে নি, তবুও আমরা আধুনিকতার মানুষ।
সত্যিই ধিক্কার  জানাই  এই মানবসভ্যতাকে
যারা ভালাবাসাকে নিয়ে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে
নাটকীয় দৃশ্যে নিক্ষিপ্ত করছে  ধর্মবোমা।
নিক্ষিপ্ত ধর্মবোমায়  ওই ধর্মপ্রাণ মানুষটির কোন ক্ষতি সাধনের বহিঃপ্রকাশ নেই।


সত্যিই কি তারা ধর্মপ্রাণ ?
যারা সহিষ্ণুর ভাষা জানে না, অহিংসার বানী বুঝে না।  
তাদের হিংসার বলি সহস্র  তরুণ তরুণী, আর সাধারণ  মানুষ।
ভালবাসার মানুষগুলি ভুলতে শুরু করেছে ভালবাসতে, ভালবাসার গান বলতে।
তোমাদের জন্য তারা আজ ভিতো, তারা থোমকে গেছে।
তাদের ভালবাসতে দাও,  পৃথিবীকে তাদের ভালবাসায় রাঙিয়ে দিতে দাও।
ধর্মকে ভালবাসার মন্দিরে নিয়ে এসো না, ধর্ম থাক আপন মন্দির, মসজিদে,আপন হৃদয়ের অন্তরে।