আমি ডাঃ কাফিল খান বলছি।
বর্তমান অবস্থান আমার, এখন মথুরা জেলে।
আমি সেই কাফিল খান, যে উত্তরপ্রদেশের,
গোরক্ষপুরের হাসপাতালে, অক্সিজেনর অভাবে,
মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরা শিশুদের প্রাণপণে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলাম দৃঢ়তার সঙ্গে।


আমি সেই কাফিল খান, যাকে গোদী মিডিয়া থেকে, রাজনীতির নেতারা, পরিকল্পিত ভাবে,
দেশদ্রোহী, মার্ডারার ঘোষণা করেছিল, সত্যতা যাচাইয়ের আগেই।
গোরক্ষপুর হাসপাতাল শিশু মৃত্যু, মিথ্যা মামলায়
দায় চাপিয়ে সরকার নিজের গাফিলতি ঢাকার প্রয়াসে,
থাকতে হয়েছে বিনা টায়ালে অন্ধকার ময় জেলে।


আমি সেই কাফিল খান, যাকে পরবর্তীতে,
সরকারের নিজস্ব কর্মরত প্রতিনিধি দল,
নির্দোষ ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছিল।
সেই দিনের ঘোটনা আজও আমাকে কাঁদায়,
সেই শিশু গুলির মুখ ভেসে আসে আজও।
অসহায় মানুষের ক্রন্দন আমার কানে বাজে,
আমার বিবেক আমাকে তাদের কাছে ছুটিয়ে নিয়ে যায়।


আমাকে বন্যা প্লাবিত এলকায় ছুটতে হয়,
আমাকে ছুটতে হয় সাইক্লোনে বিধস্ত হয়ে যাওয়া
দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
নিস্তেজ, ক্ষমতা হীন ওই অসহায় মানুষ গুলি আমাকে, ঘুমাতে দেয় না।
ওদের কান্নায় আমি ভেঙে পড়ি,
ওই গরীব শিশু গুলির সেবায় যখন
এক ফালি হাসি ফিরে পায়, যেন এক স্বর্গে খোঁজ পায়।


হা আমি সেই ডাঃ কাফিল খান,
বারবার ষড়যন্ত্রের স্বীকারে আমি দুর্বল হয়ে পড়েনি।
আমি প্রতিবাদী, আমার প্রতিবাদে ওরা ভয় পেয়েছে,
আমার মৃত্যু ভয় নেই, আমি সংগ্রাম করে বাঁচতে জানি।
আমি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত, আমি প্রতিবাদ করে যাব।
আমি পালিয়ে যেতে আসে নি, আমার লড়াই অন্যায়ের বিরুদ্ধে চলবে অবিরাম ।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস, গান্ধীজির ও স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস আমার জানা।
বিপ্লবীদের প্রতিবাদের ভাষা আমাকে সংগ্রাম করতে শিখিয়ে ছে।
স্বৈরাচারী ইংরেজ শাসকের মতো আমাকে বারবার কারারুদ্ধ করবে,
আমি ক্লান্ত হব না, আমার প্রতিবাদের ভাষা নরম হবে না।
আমি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব, আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াব।
আমি অগণিত মানুষের মিছিলে হাটবো, আমি প্রতিটি মানুষের মধ্যে প্রতিবাদী ভাষা নতুন করে
সৃষ্টি করব।
হাজারো বাধা বিপত্তির পরেও আমি অসহায় মানুষের সেবায় নিয়োজিত হব।


আমি ডাঃ কাফিল খান, আমার বর্তমান অবস্থান মথুরা জেলে।