আমার বেকারত্ব জীবনে আমি সংগ্রামী,
আমি দুর্বল, আমি অসহায়,  তবুও আমি অগ্নিপিণ্ড।
পরিবর্তনশীল সমাজে, কাজের সন্ধানে ছুটে চলা আমি অনাশ্রিত সৈনিক, তাই আমি  সমাজের চোখে বর্বর।
প্রেমময়  যুগে আমি  নিরুপায়ভাবে প্রতারক  প্রেমিক, স্বার্থলোভি মুখোশধারী যুবক।
ভালবাসার গান ভুলে নৈষ্কর্ম্য জীবনে প্রেমিকার কাছে আমি অধৈর্য,  আমি চেতনাহীন তবুও আমি গতিশীল।


পরিবারের কাছে আমি আলোর উৎস ,  আমি তাদের প্রত্যাশা,  আমি বিশ্বাস, আমি তাদের মায়ার প্রদীপ  ।
আমার দিকে চেয়ে আছে আঠারো  বছরের বোনটি, শব্দহীন, ভাষাহীন,  মুখের অস্পষ্ট ছাপে,
প্রতিটি রাত, প্রতিটা দিন, প্রতিটি সেকেন্ড ভগবানের কাছে বৃথা প্রার্থনা ____
এবার দাদা বেকারত্ব জীবন থেকে ফিরবে আলোকময় চেতনার সৌন্দর্যে।
খাবারের টেবিলে পরিবারের সম্মুখে অনাশ্রিত দর্শনে নিষ্ফল  প্রতিশ্রুতি আজ নয় কাল হবে।


হয়তো হাজারো  আত্মহত্যার  নিরর্থক  সংকল্প বাস্তবতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ভালবাসবার গ্লানি, যেন বেঁচে থাকার জন্য অমৃত সাধ খোঁজ করি মৃত্যুর মুখে।
প্রতিটি রাতে অলীক কল্পনা হাতছানি দেয়,
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কল্পনার নির্মম মৃত্যু।
অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া এই জীবনে আমি সহানুভূতিহীন, ভালবাসাহীন, আমি দুর্বল।
অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বেকারত্ব জীবনে আমি দুর্গম বেগে ছুটে চলা এক ভিতো সৈনিক।
হাজারো ভাঙা স্বপ্নের মাঝে তবুও বেঁচে আছি,
বুকভরা ভালবাসা নিয়ে অন্তিম নিঃশ্বাসের আগে পর্যন্ত বেকারত্ব লড়াইয়ে লড়ে যাব।
একদিক  বেকারত্ব দূর হবে, অচেনা মানুষগুলি আবার তাদের ভালবাসায় আপন করে নিবে।
ফেলে আসা দুঃখ কষ্ট এক হয়ে চলার পথ হয়ে উঠবে সুন্দর সরল।