আরেকটা বছর অতিবাহিত  হয়ে গেল, এসেছে নতুন বছর বাঙালির নববর্ষ।
উন্মাদনায় মত্ত বাঙালি মেতেছে  বৈশাখের নতুন প্রবণে।
বাঙালির ঘরে ঘরে নতুন পোশাক, আর অজস্র  খাবারের বাহার।
স্বয়ং বাঙালি অজস্র কান্না লাঘব  করে সুখ খুঁজে এই নববর্ষে।
কত স্মৃতির পাতা নিশ্চিহ্ন করে একটা নবলব্ধ  প্রভাতের সন্ধান পাই এই বাঙালি, এই নববর্ষে।
নতুন ক্যালেন্ডার, হালখাতার অভিষ্যন্দ,
পান্তা ইলিশের ভোজ, জমিয়ে আড্ডা,
সবকিছু মধ্যবৃত্ত বাঙালি  ট্রাজিডি, আর তার আত্মহংকার।


গিয়ে দেখ বাঙালি, এই নববর্ষে বহির্জগতে,
কতশত  শুকনো  মুখ, একমুঠো আহারের ব্যস্ততায়।
উচ্ছিষ্টের খোঁজে, কত অভুক্ত  বাঙালি ছেলে,
যেখানে তুমি মেতেছ মান্নাদের গানের আসরে,
এবং জমিয়ে তাসের আড্ডায়,  
তার পাশেই একটু দূরে তাকিয়ে দেখ কত শিশু অনাহারে পালন করছে এই নববর্ষ।
ভিখারিনী  মেয়েটি হাটে বাজারে বাঙালির কাছে আজও  অবহেলিত।
নোংরা  নর্দমায় ধারে কুকুরের পাশে কত শায়িত  বাঙালি।
প্রতিনিয়ত  জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ের ব্যস্ততায়
অজস্র  মা হারা  শিশু শ্রমিক।
জীবনযুদ্ধে সংগ্রামী  মানুষ গুলি বৈশাখের সাধ খুঁজে পাইনা, নববর্ষের শৈলী সংকল্প সম্পর্কে অজ্ঞাত বাঙালি।


একটা স্বপ্নময়  নববর্ষের খোঁজে,  একটা নতুন  বৈশাখের অন্বেষণে  যেখানে প্রতিটি বাঙলি খুঁজে পাবে নিজেকে।
সবার প্রাণে ভেসে আসবে আজ পহেলা বৈশাখ, আজ নববর্ষ।
বাজারের পাগলিটি রাঙিয়ে দিবে আবিরের সাতটি রঙে,
ফুটপাতের ওই শিশু গুলি নতুন পোশাকে জানবে আজ নববর্ষ,  বাঙালির নববর্ষ।


সময় রাত্রি ১২টা ১৯,  তং- ২৯/০৩/২০১৭