আমি মন্দির  যাই না,  তোমার পায়ের নীচে  আমার কন্ধ অধঃস্থ হয় না,
আমি মসজিদ  যাই না,  আমি মসজিদের বদ্ধঘরে নমাজ আদায় করিনা।
আমি গির্জায় যাই না,  আমি তোমার সামনে দাঁড়িয়ে থেকে  হস্ত জোড় করে প্রার্থনা করিনা।
তোমার ভাষায় বলতে গেলে আমি নাস্তিক।


আমি দেবালয়ে গিয়েছিলাম, সেখানে দেখেছি
অসংখ্য  অসহায়  মানুষের ভীড় একমুঠো একবেলা খোরাকের জন্য  দাঁড়িয়ে  আছে।
আমি পীরের দরবারে  গিয়েছিলাম, সেথায় আমি দেখেছি,
ক্ষুধাতুর  শিশুদের ফেটে পড়া বুকের কান্না।
আমি চার্চে গিয়েছিলাম, তথায় দেখেছি,
জীবন্ত মানুষের লাশ তোমার সামনে মাথানত।


তোমার সৃষ্টির ধরণীর বুকে আজ মানুষ নামক প্রাণীটি হন্য,  দুর্বল, স্বার্থান্বেষী,  চিরাচরিত  ভদ্র।
মুখোশের আড়ালে তোমাকে নিয়ে খেলছে  রাজনৈতিক মহল থেকে  শিক্ষা মহল।
মাতিয়ে তুলছে অজ্ঞদের, ভাষণে ভাষণে ভরিয়ে তুলছে হিংসা, আর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আহবান।
জীবন্ত মানুষ হয়ে এই খেলা মেনে নিতে পারিনা তাই আমি আজ নাস্তিক।


আমি আমার ছোটো  কুটিরে তোমাকে খুঁজি,
তুমি কি সত্যিই নেই আমার ভাঙা মন্দিরে।
তুমি কি হাজার কোটি টাকা দিয়ে তৈরি  মন্দির, মসজিদ,  গির্জায়  থাকো?
আমিতো ভেবেছি হাজার কোটি টাকা দিয়ে তৈরি  মণ্ডপের কথা।
আমি ভেবেছি জালসা,  বড়দিনের খরচের অঙ্ক।
ইস যদি সেই টাকা, ফুটপাতের শিশুরা পেত, তাহলে তাদের অনাহারে মরতে হত না ।
যে ছেলেটা টাকার জন্য পড়া ছেড়ে শিশু শ্রমিকের খাতায় নাম লিখেছে  সেই টাকা পেলে পড়া ছাড়তে হতো না।
মানুষ যদি তোমাকে ভাঙা কুটিরে খোঁজ করতো,  মানুষ আর গরিব  থাকতো না।
বুঝলাম  অবশেষে আমি, তোমাকে আমার ছোট কুটিরে খুঁজি তাই আমি নাস্তিক।
   সময় - সন্ধ্যে  ৫/২৫, তং-১৮/০২/২০১৭