কি গো মানুষ তুমি জেগে নেই,
কখন উঠবে গো?
আর কতদিন নির্লজ্জের মতো ঘুমিয়ে থাকবে গো?
এবার জেগে উঠে দেখো, তোমার ঘুমন্ত অবস্থায়, তোমার অজান্তে,
তোমার নিজের হাতে গোছানো বাগান সবকিছু কেমন বদলে গেছে।
বিশ্বাস হচ্ছে না তাই না, একবার উঠে দেখো,
তোমার দেওয়ালে টাঙানো ক্যালেন্ডারের দিকে চেয়ে দেখো, সময়ের ঘড়িটা তোমায় বলবে অনেকদিন আগে সূর্যাস্ত হয়েগেছে।
নতুন ভোরের সূর্যটা তোমায় ডাকছে, তোমাকে বিপ্লবের গান গাইতে হবে।
তবুও তুমি ঘুমিয়ে থাকবে, তুমি চেয়ে দেখো না-গো, তোমার জন্য সূর্যটা পূর্বের আকাশে উঁকি মারছে, তোমার অপেক্ষায়।
ও মানুষ  তুমি জেগে উঠো না-গো-
একটিবার চোখ খোলো,  লক্ষীটি-
তুমি চেয়ে দেখে বাসযোগ্য পরিবেশ দূর্ষিত হয়েগেছে, আগাছায় ভরে উঠেছে তোমার ধরিত্রীর  অন্তরে।
তোমার জন্মের অনন্তরে তুমি কিভাবে মানুষকে ভালবাসতে, কিভাবে মানুষকে একসঙ্গে পথচলতে শিখিয়েছিলে, সমস্তকিছু ভুলে গেছে।
তোমার ঘুমিয়ে যাওয়ার পর, তোমার সৃষ্টিকর্তাকে অনেকভাবে  ভাগকরেছে।
তাদের বিভিন্ন নাম আল্লাহ, ভাগবান, গর্ড, আরও কত-কি।
তোমার কিছু অনুগামী, তোমাকে ঘুমন্ত বিছানায় শায়িত দেখে, তোমার পথ স্বরণ করে, বিগ্রে যাওয়া মানুষগুলিকে নতুনরূপে দিশা দেখিয়েছিল, সেই থেকে হয়তো ধর্মের সৃষ্টি।
তোমার সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানবজাতির  বিভিন্ত জাতি, উপজাতিতে ভেঙে গেছে,
কিউ হিন্দু, কেউ মুসলিম,  কেউ শিখ, কেউ খীষ্টান, কেউ নাস্তিক, কেউ ধার্মিক।
সেই ধর্ম ভালবাসার গান বলতে শিখিয়েছিল, কিন্তু ওই ধর্ম আজ সমাজের অন্তরে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবুও মানুষ তুমি জেগে উঠবে না, সত্যিই মানুষ তুমি নির্লজ্জ, তুমি ঘুমাও অন্ধকারের বুকে।
আমি জানি তুমি ঘুমাতে ঘুমাতে যেদিন ক্লান্ত হয়ে যাবে সে-দিন তুমি জেগে উঠবে পৃথিবীর বুকে,  তুমি তাকিয়ে দেখবে পৃথিবীর ভয়াবহ রূপ।
আর নিজেকে তুলে ধরবে এক সংগ্রামীরূপে,  
সেদিন আবার নতুন পৃথিবীর জন্ম হবে।