ওই মেয়ে তুই চলনা ওই পলাশপুরের প্রান্তরে,
একমুঠো রোদ কুড়াই ভালবাসার অন্তরে।
ওই মেয়ে তোর তাড়া কিসের এমন করে যাচ্ছিস যে,
ভালবাসার পথটি ভুলে  কেন  তুই  লুকাচ্ছিস রে।


আমি রাত্রির রজনীগন্ধা ছুটে চলেছি অনেকটা সময় ধরে রাত্রির আঙিনায়।
ভালবাসার গল্পটা আমার পাতায় লেখা হয়ে ওঠেনি, শৈশব থেকে আমি নিঃস্ব,  আমি দুর্বল
আমি পতিতালয়ের গণিকা।


ওই মেয়ে তোকে লাল বেনারসি শাড়ী,
পায়ে আলতা, চোখে কাজল,
কপালে লাল টিপে করবো তোকে বিয়ে,
ওই গোপালপুরের মন্দিরেতে গিয়ে।
সিঁথি তোর সিঁদুর দিয়ে রাঙিয়ে দিয়ে,
করবো তোকে  আমার স্বপ্নের অর্ধাঙ্গিনী।
ওই মেয়ে তুই পালাস কেন?
শোননা আমার  হৃদয়ের অনুরাগের গীত।


এই মহানগরীতে আমি পতিতা,
ঘৃণ্য ভরা চোখে মানুষের  কাছে
আমি রাতের রজনী, আমি নির্লজ্জ।
দিনের আলোয় সমাজ আমাকে মেনে নিতে পারবে না, পারবে না আপন করে ভালবাসতে।