ওরে ও কেষ্টা! শুনছি নাকি?
দেশে দেশে খুব উন্নয়ন হয়েছে?
তাও আবার নাকি আমাদের
রাজ্য টা অনেকখানে এগিয়ে?
তা বাবা,কেষ্টা! তোদের ওই কেষ্টাগনদের বলে,
একটু আধটু উন্নয়ন ধার দিবি?
জানিস কেষ্টা! আমার কাছে উন্নয়নের ভারি অভাব,
কে জানি বাপু!
কথা দিয়ে পাশ কাটিয়ে উন্নয়ন ছেড়ে চলে গেছে আমায়।
ও কেষ্টা! একটু উন্নয়ন ধার দেনা বাবা।


শহরের বুকে বেড়ে ওঠা জঞ্জাল,
খাবারের অভাবে ক্ষুধার্ত কঙ্কাল শিশু
ফুটপাতে র বিছানায় শায়িত দিনের পর দিন।
তাদের মুখে একটু খাবার তুলে দিতাম,
মাথা গোঁজবার একটু ঠাঁই দিতাম।
দেনা কেষ্টা! একটু উন্নয়ন ধার,
ওদের মুখে একটু হাসি ফোটাতাম।


ও কেষ্টা!শিক্ষিত বেকার ছেলেগুলির,
মুখ চেয়ে একপলকের জন্য দেখতিস।
ওদের মধ্যে কেউ বা আবার পাগল প্রেমিক,
চাকরীর জন্য হন্যে হয়ে
তাকিয়ে আছে রাত্রি সকাল সন্ধ্যে।
ভয়ে ভয়ে দিন যে কাটে,
চার বছরের জমিয়ে থাকার প্রেম
এই বুঝি একপলকের মধ্যে শেষ।
ও কেষ্টা! একটু উন্নয়ন ধার দেনা
ওই যে বেকার প্রেমিকের দলের
মনের মধ্যে প্রেম জাগায়।
বেকার ছেলে গুলির মধ্যে একটু হাসি ফোটায়।


জানিস কেষ্টা তোর মতোই
দেশ টায় হাজারো কেষ্টায় ভরে উঠেছে,
ভাষনে ভরিয়ে তুলছে রাজনৈতিক মঞ্চ।
জনগনের সামনে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, আর
বোকা বানাইতে ব্যস্ত তারা।
লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক, কৃষক, সাধারণ মানুষ
হাততালি দিয়ে মিথ্যা গুলি লুফে নিয়ে ভাবছে,
এবার বুঝি জীবনে আলো নেমে আসবে।
অন্ধকারে একটু আলোর স্বপ্ন সেইটুকু কেড়ে
নিয়েছিস কেষ্টা, ওই জাত পাত ধর্মের নামে।
তবুও কেষ্টা তোরা উন্নয়নের নাম মুখে আনিস?
বলনা কেষ্টা কেমন উন্নয়ন করলি তোরা?
কৃষক মরছে, বেকার যুবক ছেলে কান্না করছে,
গরিব মানুষ আরও গরিব হচ্ছে।
দেনা কেষ্টা একটু উন্নয়ন ধার দেনা,
একটা গরিব দের জন্য একটা হাসপাতাল বানাতাম।
কৃষক দের বাঁচার প্রেরণা জাগাতাম,
বেকার দের কষ্ট দূর করতাম।
দেনা কেষ্টা একটু উন্নয়ন........