পৃথিবীর পেটের ভেতর—
কী এক অসুখ বেঁধেছে ঘর!


হিস্টিরিয়া রোগীর মত
কেঁপে কেঁপে উঠে—
থালা ভাঙে, বাসন-কোসন— যাবতীয় সাজানো সংসার!


নিটোল জলের পুকুর—কী এক আবেগে
হঠাৎ নদী হয়ে যায়,
কিশোরীর চাপা কান্নার মতো—গমকে গমকে উঠে জলরাশি!
আলোড়ন চারদিকে—কী এমন হলো তার!
কেন উগরে দিতে চায় অন্তর্গত খবর ও খাবার!


মাছেরা লাফিয়ে দ্যাখে—বিষ্ময়!
সুউচ্চ ইমারত ও পাহাড় নড়ে ওঠে,
সেনা বাহিনীর মার্চপাস্টের আগে
যেন কিছুক্ষন লেফট-রাইট!
যেন গোপন সংকেতে চঞ্চল হয়ে উঠেছে গোয়েন্দা বাহিনী!


যেন ইমামের দীর্ঘ ক্বিরাত শেষ হলো,
রুকুর আগের তাকবিরেরর মত
নড়ে উঠেছে বিশ্বচরাচর!


অপ্রত্যাশিত আন্দোলনে পাখিরাও হতবাক!
গলা বাড়িয়ে যেন জানতে চায় প্রতিবেশী পাখিদের মতামত—
যেন বলতে চায়— পৃথিবীর হলোটা কী!
ত্রুটিযুক্ত ইঞ্জিনের মতো কেন কাঁপে অবিরাম!
কেন বেড়ে যায় জ্বরগ্রস্ত রোগীর মত শরীরের উত্তাপ!


সমস্ত পৃথিবী আলোড়িত হয়—
শুধু মানুষের কোন বিকার নেই,
মানুষেরা হত্যা ও ধ্বংসের পরিকল্পনায় ব্যস্ত।