জনম জনম ভরিয়া বাহু বন্ধনে একটি নীলিমায়
দুুইটি উজ্জ্বল নক্ষত্র হইয়া দোদুল্যমান ছিলাম।
মন উজাড় করিয়া বুক ভরিয়া প্রেমের দেবী
আফ্রোদিতি অন্তরে ভাবিয়া শুধু ভালোবাসিতাম।
তোমারী দু'চোখে ছিলো প্রেমের বিমোহিত কান্না,
মিষ্টি মধুর মুখখানিতে অনিন্দ্য সুন্দর নির্মল হাসি।
অন্তরে ছিলো কুৎসিত নেংটা বিশ্রী তোমার উলঙ্গ
মনের অভিব্যক্তি সর্বোপরি রক্তগ্রাসি সর্বনাশী।
আষাঢ়ের মেঘ ক্ষনে ক্ষনে বদলায় চরিত্র কখনো
অন্ধকার কখনো আলো অগণিত যেনো তাহার রং।
মেঘের চেয়েও অধিক বেশী প্রখরতা
নোংড়া মনের নিকৃষ্টতম রং মাখানো মনের ঢং।
অধিকতর তুমি পাইয়াছ তাহার চাহিতেও অধিক
বেশী তুমি চাহিয়াছ অতি নগণ্য পরিমাণ প্রতিদান।
মনের সংকীর্ণতা আত্মার দুরভিসন্ধি অভিষিক্ত
অন্তর যেনো জঘন্যতম হিংস্রতার নারকীয় শ্মশান।
স্বার্থপরতাই জীবন স্বার্থপরতাই যেনো তোমার সুখ,
নির্লজ্জ স্বার্থগ্রাসি তুমি শূণ্য করিয়াছ আমার বুক।
অবাঞ্ছিত চড়ম নিগৃহীত অভিশপ্ত তুমি তবুও পরিহাসে বিড়ম্বিত অনুসূচণা,পাষণ্ডতাই তোমার সুখ।
একজনে তৃপ্ত নও তুমি আবেদন বহুজন, অর্জিত
কৃতকর্মে তুলিয়াছ তুমি বহুমাত্রিক নোংড়ামীর ঝড়।
এতো যে হীণ্য তোমার মন জঘন্য চরিত্র কভূ ভাবিনী
আমি রেখাপাত করেনি মোর বিদগ্ধ অন্তর।
আজ আমি বিস্মৃতির অতল গহব্বরে নিমজ্জিত,
মহা গভীর সমূদ্রের ভাসমান অস্থির ফেণারাশি।
নিজেকে দিই শুধু ধিক্কার তোমার মতো পাপরাশির
ভালোবাসা হৃদয়ে আমার পুঞ্জীভূত ছিলো রাশিরাশি।
মে ২১, ২০২১