আমার কবিতার পুষ্প মঞ্জরী,
এসেছিলে স্নিগ্ধ প্রভাতে তাইতো কবি।
একটি কবিতাও হতোনা কভূ লেখা, প্রণয়
উচ্ছ্বাসে প্রজ্জ্বোলিত না হতো যদি প্রণয় সূর্য্যদেবী।

কাব্যের মূল উপজীব্য হৃদয়ের চকিত ছবি,
বারেবারে দেখিগো কি যেন পশ্চাতে প্রমত্তে হামাগুড়ি।
সতত প্রচেষ্টাও কভু না আসিগো ফিরে, নিষ্পাপ
মুখখানি মৃদুমৃদু কণ্ঠ-হাসি প্রমত্তে উত্তাল তপ্ত রণতরী।

অর্ণব স্মৃতির দুর্ভেদ্য তলে দুষ্প্রাপ্য-দুরাশা "নিথর স্মৃতি",
চৈত্রে ঝাঁ-ঝাঁ রৌদ্রে চৌচির শুধুই তাহার মায়াবী পরশ।
পশ্চাতে পশ্চাতে করে আলিঙ্গন বাড়ায় মোহ মায়া,
অন্তর পুলকিত সর্বগ উপস্থিতি মধুরস।

অব্যক্ত কথার ঝুড়ি কভূ না হয় খালি হুমড়ি খেয়ে
অন্তর করে ক্ষত-বিক্ষত কি নিদারুণ রূপ!
কোথায় মুক্ত দিগন্ত স্বস্তির আভাস? তবে কি
স্মৃতিভ্রংশ লভিবে কাঙ্ক্ষিত শান্তির পরশ তদ্রূপ!

প্রত্যাশার দিগন্ত ছোঁয়া থরথরে কাঁপা আশার মরীচিকা
কভূ ফুটাবে না আশার মুকুল স্বস্তির আভাস।
শূণ্যপুরেই যেন স্থায়ী নিবাস বিড়ম্বনা আর দগ্ধ-তিক্ততার অর্জিত বিষাক্ত তপ্ত নির্যাস ।

না ভাবনার মোহ-মমতায় অন্তর ক্ষত,
চূর্ণবিচূর্ণ প্রলয়োল্লাস।
ভাবের পরিস্ফুটন শান্তির প্রলেপ ক্ষণিকের প্রাপ্তি
হৃদয়ের অহংকার হিমেল হিমেল শিতল বাতাস।

কতো যে দুঃসময় হয়েছে অতিক্রান্ত, চৈত্রের
খরা তাপদাহে অন্তরাত্মা ভস্মীভূত বারংবার।
হিসেবের ভিত বড়ই দুর্বল, এ দুর্ভেদ্য যৌগিক
হিসেব মিলানোর সক্ষমতা রয়েছে কার!

এপ্রিল৩০, ২০২৪