বয়সটা ছিলো একদম কাঁচা লিকলিকে
শুকনো দেহ, রুগ্ন তাহার চেহারা।
অল্পতেই পাইত ভয়ভীতি শারীরিক কাঠামো
ছিলো ভীষণ দুর্বল প্রেমে ছিলো বুকটা ভরা।
দীর্ঘল-চওড়া সুঠাম দেহের অধিকারী
বান্ধবীদের মনেমনে করিতাম অনেক ভয়।
পড়াশোনার ফাঁকেফাঁকে দুর্বলচিত্তের বন্ধুটি
চুপিচুপি তাহাদের প্রেমে মজিয়া রয়।
ঝগড়া বিবাদ মারামারি দেখিলে পাইতো সে
ভীষণ ভয়, মুখখানি যাইতো শুকিয়ে।
দুর্বলচিত্তের মানুষগুলি এইরূপ স্বভাবজাত
হইবে প্রকৃতির নিয়ম বিন্যাসে।
ভদ্রতা ও নমনীয়তা ছিলো তাহার চরিত্রের
অনেক বড় মূল্যবান অপূর্ব অলংকার।
প্রেমের জন্য এতোবেশী সাহস ছিলো
যেনো রাক্ষসপতিও মানিত নির্মম হার।
অপূর্ব সুন্দর রূপবতী তবুও তাহার প্রেমে
মজিয়া খাইত হাবুডুবু হইতো বেসামাল।
সুদর্শন অনেক ছেলেরা প্রেমের প্রস্তাব দিতে
পায়নি সাহস মনেমনে ছিলো প্রেমের কাঙ্গাল।
সর্বদাই মনে থাকিতো ভীতিভয়, প্রেম প্রত্যাখ্যান
করিয়া যদি অপদস্থ করিতে উদ্ধত হয়।
মনের আশা মনেই যাইতো শুকিয়ে থাকিতাম
শূণ্য মননে প্রেম সিক্ততা কভূ নয়।
বন্ধুটি আমার বীরদর্পে করিতো প্রেম ব্যার্থতা
কোনদিন করিতে পারিতনা স্পর্শ।
প্রেমকুমার হইয়া আসিয়াছে পৃথিবীতে,
প্রেমের করিয়াছে জয়গান করিয়াছে উৎকর্ষ।
বাংলাপাঁচ দুর্বল চেহার অধিকারী জড়তাহীন
ছেলেরা প্রেমে হইয়াছে বেশী সফল।
আত্মঅহংকার ও গাম্ভীর্যতায় সুশ্রী ছেলেরা প্রেম
জগতে রহিয়াছে বহু পিছিয়ে হইয়াছে বিফল।
২৬শে জানুয়ারি, ২০২১