মানুষের জীবন যখন পরিপক্বতার অভিষেক
ঘটে তখন মনে হয় খুবই অজৈয় দুর্ভেদ্য।
পৃথিবীর পরিধি যখন থাকে খুব সামান্য খুব
ছোট্ট স্বপ্নে বিভোর হয় মহাকাশ করিবে চ্ছেদ্য।
অপরূপ সূর্যটাকে দৃঢ়ভাবে দৃষ্টিগোচর ঐকান্তিক
প্রয়াসে চোখের দৃষ্টিশক্তি হয় দৃষ্টিভ্রম।
উৎকর্ষতা ভাবাপন্ন কর্ম চরিতার্থে শত-সহস্র বাঁধা
বিপত্তি করিবে গতিরোধ যেন পশ্চাৎমুখী শ্রম।
দারিদ্রতা নিঃপ্রেষিত কষাঘাতে রিক্ত হস্ত বর্ধিত
রুচিবোধ রূপ, তাহার ভোজ্য সামগ্রী পরিমিত।
প্রাচুর্যের আধিক্যে নিস্তেজ আকাঙ্ক্ষা শুধু শূণ্য
মরুভূমি ধুধু মরিচিকা নিত্য ব্যবহার্য অবহেলিত।
পুঙ্গত্বের অভিশপ্ত জীবন আত্মঃবিলাপে উচ্চ
আকাঙ্ক্ষা তাহার ব্যবহার্য সুস্থ্য যুগল দুইটি পা।
স্বয়ংক্রিয় দেহের স্বত্বাধিকারী কখনো কি ভাবনা
আচ্ছন্ন? দেহের স্বতঃস্ফূর্ততা অর্পিত জগৎ কৃপা।
সিংহাসনে আবিষ্ট কর্ণধারের কুঁড়েমি ও কর্ম
উপেক্ষা সীমাহীন অর্জিত অবর্ণনীয় ভোগান্তি।
প্রস্ফুটিত স্বাধীনতার সূর্যের অস্তমিত আচ্ছাদন
গ্রহণ করতঃ পূনঃউদ্ধার দুষ্প্রাপ্য- অসংগতি।
সাবলীল লভ্যতার অবমূল্যায়ন চিরাচরিত সহ-
জাত কুপ্রবৃত্তি, বোধশক্তির অপর্যাপ্ততা প্রস্ফুটিত।
প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়ম বিন্যাসে কভূ নাহি করি
অবহেলা প্রস্তরীতে মাথার আঘাত মাথাই রক্তাক্ত।
সময় থাকিতে সময়ের মর্যাদা কভূ অবজ্ঞা না করি
জ্ঞাপন থাকি সর্বদাই সতর্ক।
অল্পে তুষ্টি জীবন বৃত্তের কক্ষ গতি পথে কটাক্ষ
রেখাপাত করি অপসারণ, শান্তির নির্যাস করি রপ্ত।
মে ৩০, ২০২১