নদী থৈ থৈ দু'কূল প্লাবিত করে নূপুর
পায়ে ছন্দ তুলে প্রবাহিত হয় তার জল।
পরিষ্কার টলমলে পানি ফোঁটেছে সাদা
শাপলা করে চিকচিক ঝিলমিল প্রবল।
রূপালী চিকচিক আলোক রশ্মি স্নাত
অপূর্ব সুন্দর শাপলা ফুলের মন কাঁড়া।
দৃষ্টি নন্দিত ফুলের রাজা শাপলা
"জাতীয় ফুল" উপাধিতে ভূষিত করা।
রৌদ্র দুপুরে পানিতে পরিপূর্ণ খাল বিল
শাপলা ফুল অপরূপ সৌন্দর্য করে বর্ধন।
হালকা বাতাসেই পানিতে দোলে শাপলা-
ফুল খায় হাবুডুবু যেন তার হলো মরণ।
এমনি ভাবেই প্রতিকূল বৈরী পরিবেশের
সাথে খাপ খাইয়ে বাঁচাতে হয় তার জীবন।
মানুষ আনন্দ উল্লাসে করে অবগাহন তার
সৌন্দর্য যেন হৃদয়ে করে প্রফুল্লতা আনয়ন।
মানুষ শুধু ফুলের বিলিয়ে দেওয়া আনন্দ
উল্লাস উদ্দীপনার কথাই শুধু মনে রাখে।
বৈরী পরিবেশের দগ্ধ জীবন রক্ত পলাশে
পরিণত করার প্রবণতা নেই কাহারো মুখে।
বড় বাড়ির লক্ষ্মী সে, সবার হলো চোখের
"মনি" ভদ্রতা নম্রতা সকলের মন কাঁড়ে।
ভিতরে তার অগ্নি গর্ভ দগ্ধ জ্বালা, পুড়ে
হচ্ছে ছ্যাঙাপুড়া তবুও হাসিতে মুক্তা ঝরে।
কেউ রাখেনা মনের খবর সবাই শুধু গেলো
এড়িয়ে হলো রক্তাক্ত হৃদয়ের দগ্ধচাপা।
অন্তরের বিষাদ জ্বালা দিতে হলো পাষাণ
চাপা তবুও মুখের হাসি যেন দোলনচাঁপা।
নভেম্বর ১৪, ২০২১