কৈশোরে উত্তাল যৌবন মানে না বাঁধ!
কোমল স্পর্শ চায়, হৃদয় ও দেহে জাগে—
গোপন অনেক সাধ!
সদ্য পাওয়া নতুন কিছুর আক্রমণ—
সর্বত্র যেনো ছড়িয়ে দেয় আগুন৷


জীবনের সকল চাওয়া-পাওয়া—
অসংলগ্ন এক মিলনের মোহে আচ্ছন্ন!
ভুলে যায় কিসে হয় দোষ, কিসে হয় গুণ,
তীব্র আকাঙ্ক্ষা ক্ষণে ক্ষণে দেয় হানা৷


পাপ-পুণ্যের হিসাব কষার সময় নয় তখন,
পশুর মতো আকাঙ্ক্ষা মিটাতে চায়,
কোনো এক শক্তির টানে, দারুণ সায় দেয় মন;
যেই বয়স, সেটা এতো ভাবারও নয়, হোক না যতো—
হোক ক্ষয়, নেই ভয়, চায় স্খলনের জয়৷


কৈশোরের যৌবনস্পৃহা বড় বিস্ময়!
চড়ুই পাখির মতো উদ্বেল জোয়ার বয়ে চলে—
শরীরের শিরায়-উপশিরায়!
মদ্যমাতাল হাওয়া, শুধু কাছে পাওয়া, জড়িয়ে—
আনন্দলোকে হারিয়ে যাওয়া৷


মানব সন্তানের ধ্বংস এখানে হয় শুরু,
প্রবৃত্তি সেজে যায় তার গুরু, ফিরে আসা কঠিন;
সৃষ্টির উদ্দেশ্য বিলীন, অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া!
কিশোর, কিশোরী সকলই সমান৷


যখন অভিভাবক সব'চে বেশি সতর্ক থাকার কথা,
তখন তাঁরা বেমালুম ভোলার-রাজ্যে!
অবশেষে যা হবার তা-ই হয়, কৈশোরের সর্বোচ্ছ ক্ষয়!
তাঁদের দেখা স্বপ্ন ও আশা— ''মরীচিকার পাণ্ডুলিপি৷''


রচনাকাল:— ১০-০৬-২০২০ ঈসায়ী৷