(০১)
দোস্ত আমার সাধ জেগেছে গোশত দিয়ে ভাত খেতে,
সুস্থ শরীর, মনে অসুখ, দুস্থদশা রয় সাথে৷
পুণ্য খুঁজি পূর্ণ হতে পাপ এসে ওই পাশ ঘেষে!
শূন্য জীবন, একলা চলি বন্ধুর পথে যাই হেসে৷


বন্ধু ভেবে সন্ধি করি, চড়ায় শূলে ফন্দিতে!
মন্দ কথায় গন্ধ ছড়ায়, কেমনে পারি লঙ্ঘিতে?
বঁধুর হাতে মধুর হাঁড়ি, পান খেয়ে সে গান ধরে,
মাঠের পানে ছুটলো রাখাল ঠাণ্ডা পানি পান করে৷


ফুলের বাগে ভ্রমর নাচে , বাঘে নাচে জঙ্গলে,
মনের পাখি, দিয়ে ফাঁকি, চলছে ছুটে মঙ্গলে৷
কাঁচা বাঁশের খাঁচা ভেঙে পাখি নিয়ে যায় মেয়ে,
কামের রসে খামের উপর দাগ পড়েছে দেখ চেয়ে৷


খাবার রাঁধা শেষ হয়েছে, যাচ্ছে রাধা বিশ্রামে,
আসবে পরে বই পড়ে সে, থাকবে পড়ে নিজ গ্রামে৷
খাঁটি লোকের চাকর খাটি, ফল কাটি ওই বটিতে,
কুল খেয়ে যাই নদীর কূলে, কুল রেখে দেই ঘটিতে৷


বানের জলে ফসল নিলো, হৃদয় জ্বলে সেই শোকে!
বইছে বায়ু লাগছে ভালো, ছাড়লো বায়ু এই লোকে৷
পরলো বালা হাতের বালা, হার পরেছে গলাতে,
হার দিয়ে আজ শুরু হলো, গোল ভরেছি ছালাতে৷


নকল করে পাশ করেছে, ফাঁস হলো তাই ফাঁস খেলো,
দুঃখ নিয়ে মাতা যে তার পাগলখানায় স্থান পেলো৷


রচনাকাল:— ২০/০৫/২০২০ ইং


(০২)
অন্ন খুঁজে হন্য হয়ে বন্য হলো মানুষ!
গণ্য তারা পণ্যসম অন্যভাবে বেহুঁশ৷


সত্য ভুলে স্বত্ব আনা নিত্য রত সবাই,
ষষ্ঠ আনা কষ্ট করে ষোল্ল আনা বড়াই!


বঙ্গ ভূমে অঙ্গ রেখে শূন্য-ব্যোমে হৃদয়!
ভঙ্গ হবে স্বপ্ন দেখা মৃত্যু যবে উদয়৷


অল্প খানা, স্বল্প কথা, বিজ্ঞ যাঁরা মানেন;
গল্পখানা মিথ্যা কিনা বুদ্ধি দিয়ে বুঝেন৷


তথ্য পেয়ে রাত্রি জেগে তত্ত্ব এলো মাথায়,
চূর্ণ যবে পথ্য ঢেলে তিক্ত স্বাদে চিবায়৷


রচনাকাল:— ৩১/০৫/২০২০ ইং


(০৩)
নাড়ির টানে ছুটলো নারী  
                            বাপের বাড়ি,
স্বামীটা তার চটে মাথায়  
                          মারলো বাড়ি৷
কাদায় পড়ে কাঁদায় লেগে
                           ঝরালো নীর,
ক্ষণেক পরে ফিরলো বেগে
                         কাঁপালো নীড়৷


আঁধার রাতে আধার খেতে
                         ডাকলো স্বামী,
বললো রেগে তুমি তো নও
                           জগত-স্বামী৷
বধূর শিরে হাত বুলিয়ে
                            আদর করে,
মন ভুলিয়ে শরীর দিয়ে
                             শরীর ধরে৷


রচনাকাল: —১৫/০৯/২০২০ ইং


(০৪)
খেলতে গিয়ে হারের ভয়ে
                        হাড়ে কাঁপছে ভাই!
উজান গাঙে গায়ের জোরে
                           খেয়ার-তরী বাই৷


এই বনিতা ছাড় ভণিতা  
                          পতির কথা মান,
জগতমাঝে পাবি রে সুখ
                        পাবি অনেক মান৷


আপন মনে আপণ খুলে
                        সদাই বেচে রোজ,
থাকে অভাব বাজে স্বভাব
                       বারুণী তার ভোজ!


অবধানের ব্যাঘাত হলে
                            অবদানের ক্ষয়,
অলীক আশা ভাঙবে বাসা
                        অলিক দোষে নয়৷


রচনাকাল:— ১৫/০৯/২০২০ ইং
                    
(০৫)
ভাবীর স্বসা কাটছে শসা,
                   মনে আমার লাগছে ঘষা,
প্রেম-যমুনা বয়;
                    মূক হয়েছি দেখে মুখটা,
ভালোবাসায় কাঁপে বুকটা,
হৃদয় কথা কয়!


তড়িৎ গেলে ত্বরিত করে-
                   ঢুকবো ভাবি প্রিয়ার ঘরে,
দেরি কি আর সয়!
                        নিশিত ওই বদনখানা—
নিশীথ কালে চায় সে খানা,
উতল হয়ে রয়৷


ভোগের মোহ নিরাস হবে,
                      ধরবে এসে যমটা যবে,
নিরাশ করা ভয়!
                স্বীকার করি পাপে শিকার,
জেনে বুঝেই চলে সবার,
এ জীবনের ক্ষয়৷


রচনাকাল:— ১৭/০৯/২০২০ ইং


(০৬)
দোর দিয়ে চেয়ে দেখি দূর সীমানায়—
                ঘনমেঘ উড়ে যায় চড়ে ঝড়ো বায় ৷
পাহাড়ের গায়ে লেগে ঝরে পড়ে বাঁয়,
              ঢেকে আছে পথঘাট চলা হলো দায় ৷


নাচে-গায় বালকেরা ঘোরে শেষে গাঁয়,
            হাঁসা ওঠে হাঁসি 'পরে হাসি বসে নায় ৷
বঁধু এসে বধূ নিয়ে কদু খেতে চায়,
        ক্ষেতে গিয়ে নিয়ে আসি পরে তারা খায় ৷


ফাগুনে আগুন জ্বলে স্বামী নেই ঘরে,
              গোপনে পিরিতি গড়ে সতীরূপ ধরে ৷
পরশে মধুর সুখ জলে নদী ভরে,
            দোলে ফুল তুলে সুর পাতা নড়েছড়ে ৷


হাতে বালা গলে হার শাড়ি যারা পরে,
              গেঁথে মালা সেজে রয় মন নেয় হরে ৷
মিলনের মোহ ভুলে কেবা থাকে সরে!
            চুপিসারে বাঁশি বাজে মরে ফাঁদে পড়ে ৷


রচনাকাল:— ১৫/০২/২০২১ ইং
    
(০৭)
বন্ধু তোমার চুরির অংশ, আমার অংসে চাপালে,
অলক আমার টানলো লোকে, অলখ হয়ে হাপালে;
অশ্ম ছুঁড়ে মারলো তারা, তুমি অশ্বে পালালে,
অদীন তুমি, আমি অধীন, অদিনে আজ কাঁদালে!


অর্ঘবিহীন অবিরত— অর্ঘ্য কিনো এই ভবে,
বাহির তোমার অভিরত, ভদ্র জানে তাই সবে;
সর্গে সর্গে বই পড়ে যাও, স্বর্গে কিআর ঠাঁই হবে?
তেলের সাথে আসার মিশাও, ইতিহাসে নাম রবে৷


রচনাকাল:— ০১/০৭/২০২১ ইং