চারপাশে কোলাহল নেই কোন মানা,
কতোকিছু পড়ে মনে নেই সীমা জানা ৷
গুণতে গুণতে আহা কেটে যায় বেলা!
আজব জগতমাঝে— নানা সব খেলা ৷
মাঝে মাঝে গান ধরি নেই তাতে সাড়া,
সুরহীন, তালহীন, দেবে বলো কারা?
গাছে মাছ, জলে বাঘ, করে বসবাস!
মনুষ্য জাতিরা করে- রক্ত-মাংস গ্রাস ৷
অশুরেরা সুর তুলে স্নেহ-মমতার,
জনমধারিনী বধে— নিজে বাছা তার!
পতিহীনা নারী যেনো সুখে অন্ত নাই!
সকলে আদর করে বুকে দেয় ঠাঁই ৷
পিতা-পুত্রে ভায়রা ভাই বেশ শুনা যায়!
মায়ে-ঝিয়ে সতিনালা দেখি কতো হায়!
ছেলে-মেয়ে মিশে এক, হয় প্রেমকথা,
জড়াজড়ি করে চলা সে আধুনিকতা ৷
পত্নী রেখে পতি চায়— পেতে বারাঙ্গনা,
বিয়ে-শাদী নাম শুনে বাড়ে তাে যন্ত্রণা!
লিভ-টুগেদার করে লুটে যৌনমজা,
ধনীদের এই কাজে নেই কোনো সাজা ৷
ধর্মের অনুশাসন বড়ো অত্যাচার!
নাস্তিক হয়ে গেলেই সমাধান তার ৷
চারপাশে কোলাহল আছে শতো জ্বালা
মানুষের কাজ দেখে পশু বলে পালা!
দেখতে দেখতে আহা চোখ ছানাবড়া!
উল্টোপথ, উল্টোরথ বলো কীবা করা?


রচনাকাল— ২০১৯ ঈসায়ী