হ‌রি‌নীর মত দু‌'টি চো‌খে কাজলের রেখা
‌রেশমী খোলা চু‌লে বাতা‌সের দোলা
‌ফুটন্ত গোলাপের ন্যায় দু‌'টি ঠোঁট
‌হা‌সি‌তে টোল পড়া গাল
কাঁচা হলুদ বরন দেহখা‌নি
পঞ্চদশী কি‌শোরী সে।


আ‌মি পঁচি‌শের এক তরতাজা যুবক।
হ্যা আ‌মি পে‌য়ে‌ছি, তা‌কে পে‌য়ে‌ছি।
আমার কল্পপরীকে আজ পে‌য়ে‌ছি ।
সব শুন্যতা যেন পুরণ হয়ে‌ছে আমার।
মহা খু‌শি‌তে নে‌চে ওঠা হৃদয় নি‌য়ে
অপলক নয়‌নে চে‌য়ে থেকে‌ছি তার পা‌নে।
বু‌কের বাম পাশটা ভে‌ঙ্গে-চু‌রে
একাকার হ‌য়ে যেন
মি‌শে যে‌তে চাই‌ছে তার বু‌কের সা‌থে।
ভুল‌তে প‌া‌রি‌নি বাস‌রের সেই রাত।


তার পর সংসার-
এ‌কে একে কে‌টে গে‌ছে বহু বছর
চার দেয়া‌লের মা‌ঝে, একই ছা‌দের নি‌চে
‌ছিনায় ছিনা লা‌গি‌য়ে পার ক‌রে‌ দি‌য়ে‌ছি
একে একে সুদীর্ঘ রা‌তগু‌লো।
‌কৈশরের সরলতা, যৌবনের তপ্ত সুধা
সবই নি‌য়ে‌ছি, একেবা‌রে নিং‌ড়ে নি‌য়ে‌ছি
যা ছিল সবটুকুই; অব‌শিষ্ট রা‌খি‌নি কিছুই।
ভরা সংসার , সন্তা‌নের সুখ সবই পে‌য়ে‌ছি।
কখনও কোন চাওয়া অপুর্ণ রা‌খে‌নি সে।


তবু কেন আজ জীবনের পড়ন্ত বেলায়
এক‌টি কথাই বারংরার ভে‌বে চ‌লে‌ছি-
যখন একই ছা‌দের নি‌চে পঞ্চান্নটা বসন্তে
তার সবটুকুই বিলীন হ‌য়ে‌ছে আমা‌তে।
বয়‌সের ছা‌পে ভেঙ্গে গে‌ছে চোয়াল
শরী‌রের চামড়াও ঢি‌লে হ‌য়ে‌ গে‌ছে।
তবু আজও কেন গভীর রা‌তে
তার ঘুমন্ত মু‌খের পা‌নে চে‌য়ে
‌কেবলই নির্ঘুম চো‌খে ভে‌বে চ‌লে‌ছি
আ‌মি কি স‌ত্যিই পে‌য়ে‌ছি?
পে‌য়ে‌ছি কি তা‌কে?