আমি হয়েছিনু চির
উন্মাদ তারই পরশে;
সে যে শান্ত ধারায়
ছুঁয়েছিলে হিম
বরষে।


বরষার ধারায় তারে
চেয়েছে এ মন
হতাশ হৃদয় সে যে
করেছে লুন্ঠন,
হলদে শাড়ি তলে
জড়ায়ে বেদন
অঙ্গ-অঙ্গ করে যায়
সিক্ত প্রতিক্ষণ।


সে যে ভিজেছিলো
মোর হাতটি
ধরিয়া
বরষার জলে দিয়ে
সুখেররই গ্রহন
তপ্ত ধরনীর বুকে
বাজায়ে মাদল
সাঁজিছিলো তারই
চোখের কালো
কাজল।


হঠাৎ কি-যে সিক্ত
চোখে করে
টলোমল
গাল বেয়ে দাগ কেটে
যায় সে
কাজল,
শেষ হলে বরষায় কত
শতদল
জনম লগ্ন তারে
করেছে মাতল।


তবু তারে ভালোবেসে
কেনো
অনুক্ষণ
হালকা সে খোলা কেশে
ছুঁতে চায়
মন,
বরষার হাওয়া লাগে
সুখেরই কহন
নবপ্রেমে হেঁটে চলি
আমরা দুজন।


শেষ বরষার তরে
হাসিতে মগন
জনম করি তবে
শুদ্ধীকরণ,
স্বাগত তবে তোমায়
নব হে জীবন
ধুম বরষায় গড়ি
প্রেমেরই ভূবন।