সারাদিন ঘুরা-ঘুরি করি মেট্রো আর ট্রামে,
ফরাসিদের ভিরের মাঝে
কখনো হারিয়ে যাই হকারের হাঁকে,
দিন যায়-বসে থাকি,কত কি দেখিয়াছি,
জোড়া কবুতরের মত যুগলের কলধ্বনি,
হাঁটে মাঠে দেখিতে পাই আমারই মতো নিরুদ্দেশ যাত্রী,
কবে যে আসিয়াছি আমি,আমারই ঠিক মনে নেই,
আমি যে হইয়াছি নিবর্াসিত,নিবর্াসনে আজ-অব্দি,
পথ চেয়ে বসে আছে আমারই অপেক্ষায়,হইয়াছে
কাঁদিয়া ব্যাকুল কিশোরীটি,ঘর নেই বাড়ি নেই-
ঘর বাঁধিবার স্বপ্নে দিয়াছিল সে তাল পাতার চাউনি,
উড়াইয়া নিলো নাকি?শুনেছি কালবৈশাখী।


প্রচন্ড তাপে আমি ঘামে ভিজি,
কোথায় সেই শ্রাবন,আষাঢ়ের বৃষ্টি-জীবন শঙ্খচিলের
মতো নিরুদ্দেশে উড়াইয়াছি,
আমি যে আবার কবে ঘরে ফিরি,যেখানে আমারই
পদভরে ফাগুনের হাওয়ায় উরিয়াছে ধুলি,
শুকনো পাতার মরর্মর ধ্বনি,সেখানে সাদা বক,মাচরাঙা,শালিখের কলকাকলী,ঘুম ভাংঙ্গেছে শুনিয়া ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক,
অন্ধকারের বুকে ভেদে সহস্র বাতি জ্বলিয়েছে জোনাকির ঝাঁক,ঘুরে ফিরি;জগতের ভার অলক্ষে
পরিয়াছে,ভারি হয়ে আমারই কাঁদ,হৃদয়ের তেপান্তরে বাসা বাঁধিয়েছে একটা দাঁড়কাক।


আমি তো হারিয়েছি পৃথিবীর হাটে,চোখ মেলে
দেখিতে চাই আবারও শঙ্খচিলের রূপে অথবা কবি জীবনান্দের চোখে,
নরম ঘাসের বুকে হাঁটিতেছে কিশোরীটি আলতা পায়ে,লতা আর পাতা,খড়কুট নিয়ে বাবুই বাঁধিয়েছে
বাসা তাল গাছে।


আমার যেদিন যাবার ডাক এসে যাবে,হে প্রভু-
আমাকে ফিরাইয়া নিও বাংলার বুকে,
আকাশের মাঝে বিছাইয়া দিও নক্ষত্রের মেলা,
মাটি আর ঘাসের মাঝে..
আমি যেন শুইতে পারি চিরনিদ্রায় এর চেয়ে
বেশি চাওয়া কি হইতে পারে!


(আমি ফ্রান্সে,পেরিস আছি,রামজান শেষে আজ আমরা ঈদ দিন পালন করেছি,তাই বাংলা কবিতা ব্লগের সকল কবি কে ঈদ মোবারক ও অভিনন্দন জানাচ্ছি,সভাই ভালো থাকুন প্রর্থনা করি)