পুরাতন দিনের ছবি গুলো ভেঁসে উঠে মননে
নতুন আয়োজনে-আজিকার দিনে,
দীঘির ঐ পাড়ে পুরানো বট তলে আমাদের গাঁ'য়ে,
পাশ দিয়ে ছোট নদী টা চলে গেছে
মিশেছে গিয়ে সিন্ধু জলে,
পাকা ধান আর শুকনো খড়ের সুগন্ধে
মাতাল হাওয়া-ঘ্রাণে পাগল অগ্রাহন,
ভোরের আলো-ফুঁটে উঠিলে  
সাথে জেগে উঠে কিষাণ,
শিশির ভেজা ঘাঁসে কুমারীর সফেদ পা'য়ের ছুয়া-
নুপুরের ঝংকারে উড়ে যায় শালিকেরা,
পাপিয়ার ধ্বনি শুনা যায় দীঘির ঘাটে,
কুমারীরা বুঝি নাইছে দীঘির অঁজন জলে,
পদ্ম-শাপলার নীচে মীনের খেলা-
ডানা ঝাপটিয়ে শিকারে ব্যস্ত ভুখা মাছরাঙা,
কদম গাছের নীচে বড়শি হাতে ব্যস্ত বৃদ্ধ মা,
শুনেছি ঐ দীঘি টা হাজার বছরের আগে দিয়েছিলো কোন এক রাজা।


এখন প্রাত:কাল-রোদের মিঠে আলোয় পৃথিবীটা সিঁদুরের মতো লাল,
পথপ্রান্তরে জেগে আছে শৈশব-
যৌবনের সেকাল-শিকলে বন্দি স্মৃতির পাল,
হৈ চৈ পরেছে উৎসবের আহ্বান,মোড়লের বাড়িতে
বসিবে জারী গান,ফসলি জমি থেকে ভেঁসে আসছে
ধানের মিষ্টি ঘ্রাণ,
খড়,ক্ষুদ-শষ্যে ভরা উঠান,
আমাদের এই গাঁ'য়ে -আজিকার দিনে
ক্ষেতে ভরা ফসল-
পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে আহ্লাদের অবসাদে ভরে উঠে মন,
চারি দিকে-চেয়ে দেখি
সোনার থালায় রোপার মতো ধান,দেখে
ক্ষুধা মিটে যায়-পাখির তানে সিন্ধ কান,
ধান ভাংঙ্গা কুমারীর শরীর হতে ভেঁসে আসে ঘামের ঘ্রান।


চারি দিক এখন দুপুরে রোদ-দিপ্ত রোদের তেজে
পুড়ে গেছে ক্লান্ত কৃষাণের মুখ,বাতেসে ভেঁসে আসে
ফসলের ঘ্রান,কাজের ভাঁড়ে হয়ে আছে কুমারীর বদন ম্লান,
জল নেবে,ধান তুলবে
ভরিবে খড়-খুটে গোয়াল,
এপাড়া-ঐপাড়া ব্যস্ত দিনমান
আমাদের ঐ গাঁ'য়ে কেহ করো সাথে করে না মান,
করেনা হিংসা নেই অভিমান,
আমাদের কাটে ব্যস্ত সময়-নেই অবসরের গান।