এখানে অনেক দিন কেটে গেলো আমার নক্ষত্রের নিচে,
আমি ভাঁসি বাংলার প্রেমের আলো আঁধারে-
আমাকে নিয়ে যায়  প্রেম মাঠ-ঘাট আর মঠে
কি করে ভুলি প্রিয়া তোমারে-(সবুজ ঘাসের বুকে কুমারীর রাঙ্গা চরণ শিশিরে ধুয়ে,)
কতদিন দাঁড়িয়েছি চেনা সেই
সুরমা-কোশিয়ারা আর মুনুর তটে
দেখছি আমি অপরুপ যৌবন লেগে আছে নদীর বাঁকে,
কাঁশ বনে ঢেউ উঠে বাতাসের আঁচ লেগে
ঝোপের মাঝে ডাহুকের ডাকে-শিকারীর ঘুম ভাঙ্গে।


আমি পার করে দিয়েছি অনেক টা বছর দুরে
নক্ষত্র আর  আকাশের নিচে
জীবন গিয়েছে চলে ট্রাম বাস আর মেট্রোর ফ্লাট ফর্মে,
আবার আসিবো আমি কোন এক অবসর জীবনে লগ্নে,
আমার ঘরে ফেরা-হয়তো কোন এক পৌষের দিনে-
তখন সন্ধায় কুয়াশায় নেমে-নিমের ডালে পেঁচা টা শিকারের সন্ধানে,
আমার দেখা হবে প্রিয়ার সাথে -মাঝ রাতে
চাঁদ আর নক্ষত্রের নিচে পঁচিশ বছর পরে।


তখন বাবলা গাছের নীচে অথবা বকুল তলে
বারো বছরের বালিকার সাথে বিয়ে হবে বরের --
খেলার ছলে,
আর মাছরাঙ্গা টা মগ্ন শিকার মীনে,ওহ!
কমলি লতা ভাঁসে দীঘির জলে - পদ্ম পাতায়
রৌপ্যর মতো শিশির জমে থাকে,
অদ্ভুত যদি দেখা হয় কথা হয় -নদীর পাড়ে
নিগূঢ়  জলে জলপরি নীল শাড়ির সাজে
সবুজ বাংলার মাঠে হলুদ ধানের রঙে -
হলদে পাখি বা ভ্রমরে সাথে।