দাদী,
যাসনে রহিম ঐ কুশিয়ারা নদীর জলে,
আজ থেকে যুগ কয়েক আগে
তোর বাবা তখন দুধের শিশু হবে,
ক্ষুধার তারনায় জাল হাতে কুশিয়ারা জলে
দাদু তোর গিয়েছিলো ভোর রাতে মৎস শিকারে,
কি?নিদারুণ কালবৈশাখী ঝড়ে
গিয়েছিলো তরী টি কুশিয়ারা অথৈ গভীরে
ফিরে আসলো না দাদু তোর গৃহে
তালিয়ে গেলো রাক্ষসি কুশিয়ারা ক্ষুরধার গহ্বরে।


দাদী,
যাসনে রহিম ঐ আখালুকি হাওয়রে,
আজ থেকে বছর কয়েক পূর্বে
তুই যখন ছিলে মায়ের গর্ভে
বাবা তোর গিয়েছিলো আখালুকি হাওয়রে পদ্ম তুলিতে,
সেই যে গেলো আর আসলো না ফিরে
কাল নাগিনী দংশনে সোনার মানিক রে
বিষের জ্বালায় লুটিয়া পড়িলো না'য়ে
দেখিলো না তোর মুখ মরিবার পূর্বে
হায়! বৌটি যৌবনে সাজিলো সাদা শাড়ীর সাজে,
আচঁলে মুখ গুঁজে অশ্রু ঝরালো অকালে।


দাদী,
যাসনে রহিম ঐ মিছিলের মাঝে,
৫২ ভাষা আন্দোলনে রাজ পথে
ফেব্রুয়ারীর ২১ তারিখ ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে
তোর বড় ভাই গিয়েছিলো ভাষার জন্য যুদ্ধে,
রাজ পথে পুলিশের গুলিতে
শহিদ হলো ভাই ভাষার জন্য লড়ে,
ভাবি টি তোর মরিলো মর্ম পিরণে
নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে।


দাদী,
রহিম যাসনে ঐ প্লাজায় কাজে,
২৪ এপ্রিল ২০১৩ সাল------
বোন টি তোর গিয়েছিলো রানা প্লাজায় কাজে,
মরিলো বোনটি তোর সতের বছর বয়সে
রানা প্লাজা ধসে।।


কবিতা টি ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ইং লেখা।।