নির্ঝর নিঝুম রাতের মাঝে
চাঁদের আলোয় বন্যা
নিরালা প্রাসাদে কার প্রতিক্ষায়
জেগে একা রাজকন্যা ?
ঘুম ঘুম চোখে জানালায় বসে
আলতো আলতো চেয়ে
পূর্ণ চাঁদের মিষ্টি সে আলোয়
কার জন্যই বা রয়ে ?
প্রাসাদ উচু দেয়ালে ঘেরা
প্রহরায় সিংহদ্বার
চারিদিকে তার হাজারো সৈন্য
পাহারার আঁধার ।
এত পাহারার ,দ্বার প্রহরার
চোখ এড়িয়ে, ও কে ?
আসছে প্রাসাদে,লুকিয়ে লুকিয়ে
সাহস তো বেশ বুকে!
চাঁদও যেন এ কান্ড দেখে
ভয়ে শুকিয়ে মুখ
একফালি কালো মেঘকে টেনে
আড়ালে লুকোলো চোখ।
আঁধার নিশির আঁধারে লুকিয়ে
উচু দেয়ালটা বেয়ে
নিঃশব্দে চুপচাপ ,শ্বাসরোধ করে
যুবক যায় এগিয়ে।
ঐতো দেখ ,রাজপ্রাসাদে
জ্বালিয়ে প্রদীপ আলো
বসে আছে দেখ চাঁদমুখ মেলে
যাহারে বেসেছ ভালো ।
আরেকটু পথ দুজনের মাঝে
মিলনতো নয় অদূর
প্রহরা দুজন ,হাটে হেথা হোথা
আগলিয়ে প্রাসাদপুর।
চোখ এড়িয়ে ,ঘনঝুপ দেখে
যুবক এগিয়ে চলে
একটু যেন আশার আলোয়
চাঁদটাও চোখ মেলে।
আলোয় আলোয় আলোর আভাসে
দেখ যুবকের রুপ
চোখদুটো তার মিশমিলে কালো
সুপুরুষ বটে খুব।
কিন্তু একি ছেড়া জামা গায়!
নিত্তান্তই গরিবী হাল
রাজপুত্র নয় ,মন্ত্রীপুত্রও না
কৃষাণের ছাওয়াল।
উচু উচু ঐ দূর আকাশের
দুটো চাঁদই তার অধর
খোদার কি মতি ,জেনে কি হবে
থাকুক তাঁরই ভেতর।