চন্দ্রমা,
যে বাড়িটিতে থাকার কথা ছিলো তোমার আর আমার?


থাকা হয়নি বলে—
বাড়ির দেয়াল ফেড়ে গজিয়েছে ঘেউর- ঘাস!
ঘাসগুলো যেন বাড়িটির দেহ-লোম।


বারান্দায় গজিয়েছে ‘উজারো-লতা’
জানালা দিয়ে উঁকি দেয় মাঝে মাঝে।
হয়তোবা অভিমান করে চোখ সরিয়ে নেয়
আমাদের দেখতে না পেয়ে!


ঘরের কোণায় খড়কুটো দিয়ে বাসা বেধেছে
দুইটা ‘গৃহস্থালির চুড়ই’।
পুরুষ আর স্ত্রী চুড়ই দুটো মিলে
শান্তিতে করছে সংসার।
চন্দ্রমা, আমার বিশ্বাস-
চুড়ই দুইটা অপেক্ষা করছে আমাদের ফেরার!


ঘরটিতে নাকি বাসা বেঁধেছে ভূত-প্রেতের দল
প্রতি রাতেই কান্না করে ভূত-প্রেত
শুনতে পায় নগরের সকল মানুষ!


চন্দ্রমা তুমি তো জানো, ওখানে কোন ভূত-প্রেত নয়
বরং আমার অসহায় আত্মা কাঁদে
তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রণায়!


-------------------------