. জন্ম তোমার দৈন্য-নীড়ে,
অন্ন জোগাড় লৌহ পানি করে
দিনে কর্মে ব্যস্ত তুমি,
নিশিতে নিদ্রা চোখ ভরে।
প্রভাতে পক্ষির ডাকে
তুমি জাগো নিদ্রার শতো শান্তির ফাকেঁ
কর্মে কষ্টে ব্যস্ত মাঠে
জলের ফোটাঁ নয়ন কোণে,
তখন প্রার্থনা তোমার মনে মনে
প্রভু যে কখন উপরে ডাকে!
তনু তোমার বিশ্রাম চায়,
যেন কষ্টে প্রাণ তনু ছেড়ে যেতে চায়।
তবু তুমি কর্মে ব্যস্ত,
আর মনে মনে ভাবো কখন যে হবে সূর্য অস্ত!
তুমি দৈন্য তবু ধন্য
নিজ কর্মে জোগাও হালাল অন্ন
হারাম যায় না তোমার উদরে!
কাঁধে করে হরিধ্বনি জপে শ্মশানে নিয়ে শবদাহ?
কাঁচা লাশ তো আগুনে পোড়ে না!
শ্রাদ্ধ - অন্তেষ্টিক্রিয়া?
কেউই তো জানে না একটা মানুষ চোখের আড়ালে লাশ!
এ লাশ ‘মমি’ করা নয় তবু দেহ কাঁচা
লুকোচুরি খেলে কফিনের সাথে
রাতে মরা দিনে বাঁচা।
কাউকে কাঁদায় না,
নিজেই কাঁদে লুকিয়ে লুকিয়ে_
কেন কাঁদে চিরকাল অজানা
শুধু সেই কফিনই জানে
কতটুকু অশ্রু গড়ায় লাশের চোখ দিয়ে!
সমাধি কারো? কারো অপেক্ষার শেষ অবধি!
তারপর দেহখানি ছাই হয়ে বাতাসে উড়বে।
লাশ-পোড়া ধোঁয়ায় চেয়ে চেয়ে কেউ বিষাদ দেখবে।
হয়তো সে নির্বাক কাঁদবে, শুধুই কাঁদবে!