প্রতিটি বিদায়ী মানুষ যারা অভিমান করে বিদায় নেয়
শেষমেশ  রেখে যায় একটা তালাবদ্ধ বাক্স
আর চাবি ছুড়ে দিয়ে যায় কোন আপন মানুষের হাতে।


সেই আপন মানুষটি লোকজনের আড়াল করে
খুব যতনে আগলে রাখে জীবনভর
আর সময়ে-সময়ে একাকী খুলে দেখে প্রতি মাঝরাতে!


আমার অভিমানী চন্দ্রমা বিদায় নেওয়ার সময়
যে বাক্স টি রেখে গেছে
খুলার পর আমি দেখতে পাই—


-একটা মাটির সেলেটে চক দিয়ে
  বড় করে লিখে যাওয়া ‘অভিমান’ শব্দ।
-ক্রুদ্ধ‚ লাল চোখের একটা মাটির পুতুল।
-স্মৃতি গেঁথে রাখা একটা লম্বা ফর্দ‚ স্মৃতির ফর্দ!


তারপর ‘অভিমান’ শব্দ আর ক্রুদ্ধ পুতুলের কারণ খুঁজে বেড়াই বেদিশার মতো।
স্মৃতি গাঁথা ফর্দ টি খুলে পড়ি আর নীরবে কাঁদি।
আঙুলে থুঁ লাগিয়ে মুছে দেওয়ার চেষ্টা করি
সেই প্রত্যেকটা স্মৃতি।


কিন্তু বৃথা চেষ্টা! স্মৃতিগুলো কি মুছে যাওয়ার?


কাঁদে রে মন কাঁদে শুধু কাঁদে
স্বপ্নের জানালায় স্মৃতিগুলো উঁকি দেয়
কষ্টের তীর হৃদয়ে বিঁধে-
কাঁদে রে মন কাঁদে শুধুই কাঁদে!


এমন করেই রাতদিন কাঁদায় আমায়
আমার অভিমানী চন্দ্রমার রেখে যাওয়া বাক্সে-
সেই ‘স্মৃতির ফর্দ’ টা!


--