(স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে নিয়ে দীর্ঘ কবিতা রচনার প্রয়াস।এতে বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান, জন্ম, বেড়ে ওঠা, পড়াশুনা, রাজনীতিতে অংশগ্রহণ থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ ও পরবর্তী শাসনকাল উল্লেখ করার ইচ্ছে আছে। জানি না কতটুকু পারবো তবে চেষ্টা থাকবে। কবিতাটি ১৪ মাত্রার সমিল পয়ার ছন্দে লেখা হয়েছে।আপনারা যদি পড়ে গঠনমূলক আলোচনা করেন তাহলে একটি মানসম্মত সুদীর্ঘ কবিতা রচনা সম্ভব হবে। যেকোন মতামত সাদরে গ্রহণ করা হবে। আজকে প্রথম ৩৪ লাইন প্রকাশ করলাম , ধারাবাহিকভাবে চলবে ইনশাআল্লাহ )


--প্রথম কিস্তি-৩৪ পঙক্তি--


এঁকেবেঁকে মধুমতি স্রোতের বহর
বাইগার কূলে পড়ে উপচে লহর।
রোদ্দুরে গায় নদীর জল সোনা রঙ্গে
জোৎস্না লুটিয়ে পড়ে রোপা বর্হিরাঙ্গে।
নদীর বুকের 'পর রেখে তনু-মনে
মাঝি মাতে সুর তুলে ভাটিয়ালি গানে।
তীর ঘেঁষে দু'নদীর তাল ও তমাল
ধান-পাট-আখ ক্ষেত তরু ও হিজল।
কাশবনের সফেদ পালকের সারি
ধানী প্রান্তর সবুজে মন নেয় কাঁড়ি।
বুনো লতাপাতা বাঁশ কলাগাছ ঝাঁড়ে
খেজুর গাছ বাঁধানো ঘটে নদী পাড়ে।
শালিক-চড়ুই সহ পাখালির ঝাঁক
দুপুর আকাশে ভাসে ঘুঘুরে কু ডাক।
হাওর-বাঁওরে বাঁধা টুঙ্গিপাড়া গ্রাম
মহতি ও গুণি জন্মে নিখিলে সুনাম।
নিসর্গের অবারিত সৌন্দর্য আধার
পটে আঁকা ছবি সাথে তুলনা তাহার।
দুইশো বছর আগে শেখ পরিবার
বসতি তুলেন গড়ে বড় সংসার।
লক্ষ্য ধর্ম ইসলাম প্রচার জমিনে
দূর করে অন্ধকার সকল কমিনে।
সেই থেকে পথচলা আজও অম্নান
সুখ্যাতির উচ্চশিরে কতনা সম্মান।
এই গ্রামের বনেদি শেখ পরিবার
আগমন অন্যতম সেরা পুরুষের।
পৃথিবীতে আসে তিঁনি মার্চের সতের
ধরণীর বুক চিরে বজ্র থরথর।
কাঠ-ফাটা রোদ ছিটে তুফান ঝড়ের
চৈত্রের খরতা ভেঙে প্রবল জোয়ার।
সাদর সম্ভাষণে সে করে নিবেদন
শীর্ণ গাছ সিগ্ধতায় উড়ায় কেতন।
ফুল ফুটে বাগিচায় সৌরভ সুঘ্রাণ
তার রেশে সুবাসিত দেশ জনগণ।


চলবে.............