চপলা চপল পায়,
চলে যায় স্বামীর বাড়ির ঠিকানায়।


বাবা-মা বিয়ে দিয়েছিল তারে বনেদি ঘর পেয়ে,
সবাই বাসিত ভালো ভালোবাসিত না তার জায়ে।  

ঝিয়ের মতো করায় তো কাজ তবু,
চপলা বলতো না কিছু কভু।


সহ্য করে চপলা নির্যাতন সব,
একটু ভুল হলে তার বড় জা করত যে কলরব।


দিত সবার শেষে খাবার পোড়া চাঁচি ভাত,
গরিব ঘরে জন্ম ছিলো তার এমন খাবার সে খায়নি কোন রাত।


চপলাকে তার শাশুড়ি দিয়েছিল এত্ত গহনা,
বড় জা তা নেবার জন্য ধরেছিল বায়না।


চপলাকে তার বড় জা বলতো গহনা আমায় দিয়ে দে,
না দিলে তোর চপলা ভালো হবে না যে।        


চপলা বলেছিল বড় জাকে গহনা দেব না দিদি ,
বড় জা বলে না দিলে তুই পরপারে চলে যাবি।


কথাটা চপলা বলেনি কাউকে,
শাশুড়ি তার শুনেছিল কথাটা দাড়িয়ে তফাতে।


শুধু মাত্র গহনার জন্য চপলাকে বড় জা করায় বিষ পান,
তাতে উড়ে যায় চপলার এই ধরার প্রাণ।


লোভের বশবতী হয়ে মানুষ পারে কি না করতে,
লোভী মানুষে দিয়ে পুরো এই ধরাতে।