হাশরের দিনে বিচার বসবে,
সকলেই খোঁজবে একটি নেকের আপন জন।
না পেয়ে কাউকে বলবে তখন -
নাই কিরে আপন কেউ? নাই কিরে আপন কেউ?
এই ধরাতে কি সকলেই সকলের পর?
ঐ ধরাতে আপন ছিল,
মা,বাবা,ভাইবোন আর স্ত্রী সন্তান।


আজ আমি বিপদে পড়েছি, নেই কেউ রক্ষা করার।
একটি নেকের জন্য যাবে জনম দুঃখনী মাতার দ্বার,
যে তোমাকে করল ধারণ গর্ভে দশ মাস দশ দিন তার। হাশরের দিনে তুমি মাতাকে বলবে মাগো,
তোমার সন্তান আজ বিপদে ওগো মা,
রক্ষা করো একটি নেকি দিয়ে।
সেদিন মাতা বলবে,
আমার তো বিয়েই হয় নাই কোনো দিন,
ঐ ধরাতে কেউ ছিল না আমার, ছিলাম একলা।
চিনি না তোমায়, কে তুমি?  
এই ধরাতে মাতা বলবে,....
ইয়া নাফসি.... ইয়া নাফসি.....।


একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
পিতার কাছে ওরে,
যে তোমারে খাওয়াছে তার আজীবন উপার্জন করে।
সেই দিন পিতা বলবে, চিনি না তোমায়,
কে তুমি?
এই ধরাতে পিতা বলবে তখন..
ইয়া নাফসি..... ইয়া নাফসি.....।
একটি নেক আমলের জন্য যাবে,
সেই দিন তুমি ভাইবোন স্ত্রী সন্তানের কাছে ওরে,
যাদের তুমি নিজে খাওয়াছ  উপার্জন করে।
কেউ চিনিবে না সেই দিনে তোমায়,
সবাই বলবে কে তুমি?
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে যেমন করে খুজে বেড়ায় জল,
তেমন করে হাশরের দিনে তুমি খুঁজবে একটি নেক আমল।
তৃষাতুর পথিক মরুভূমিতে সারাদিন খুঁজে পায় না কো জল,
শুধু করে মরীচিকা যে ছল।
সারাদিন ঘুরে ঘুরে পাবে না কো তুমি ফল।


এই ধরাতে কেউ পরের কারণে দেবে না নিজের স্বার্থবলি,
বলবে সকলে ইয়া নাফসি... ইয়া নাফসি...।


এক ব্যক্তি হবে তোমার এই ধরাতে আপন,
আছে ওর একটি নেক আমল, দেবে উজাড় করে।
তখনই তুমি হাসিতে হাসিতে যাবে চলে জান্নাতের দিকে,
তখন বিভাবরী বলবে ওরে,
তোর কারণে নিজের স্বার্থ যেজন দিল বলি,
তুই তারে কেমনে ফেলে যাস জান্নাতের দিকে চলি।
নিয়ে যা ওরে জান্নাতে।
এখানে ঐ তোমার চির আপন,
ঐ ধরার চেয়ে।
আর বাকিরা বলবে ইয়া নাফসি... ইয়া নাফসি...।